ময়নাগুড়ি: স্বামী পরিযায়ী শ্রমিক। দুই শিশুকন্যা সহ গৃহবধূকে শারীরিক নিগ্রহ করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ময়নাগুড়ি ব্লকের সাপ্টিবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। রবিবার নির্যাতিতা ওই গৃহবধূ এই বিষয়ে ময়নাগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা গৃহবধূর নাম বিনোদিনী দাস বিশ্বাস। স্বামী সঞ্জয় বিশ্বাস গত পাঁচ মাস ধরে কেরলে সাটারিং মিস্ত্রির কাজ করেন। ১৫ বছর আগে বিনোদিনীর সঙ্গে বিয়ে হয় সাপ্টিবাড়ির বাসিন্দা সঞ্জয় বিশ্বাসের। বিনোদিনীর অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই স্বামী সহ শ্বশুর ও শাশুড়ির শারীরিক নিগ্রহ করে। বিশেষ করে দুই মেয়ের জন্মের পর এই অত্যাচার আরও বেড়ে গিয়েছে। রবিবার শ্বশুর শচীনচন্দ্র বিশ্বাস এবং শাশুড়ি জ্যোৎস্না বিশ্বাস মারধর করে দুই শিশুকন্যা সহ বিনোদিনীকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
বিনোদিনীর বাবার বাড়ি ময়নাগুড়ি দক্ষিণ খাগড়াবাড়ি এলাকায়। বাড়িতে মা দিনকেটি দাস রয়েছেন। দিনকেটি দাস বলেন, ‘বিয়ের পর থেকেই আমার মেয়ে বিনোদিনীর উপর এভাবেই মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার চালানো হচ্ছে। মেয়েকে যারা এভাবে শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার করছে, তাদের শাস্তির দাবিতে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছি।‘
অভিযুক্ত বিনোদিনীর শাশুড়ি জ্যোৎস্না বিশ্বাস অভিযোগের কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। বউমা তাঁর ছোট মেয়েকে মারছিল এদিন। আমরা ঠেকাতে গেলেই সে চটে যায়।‘ বিনোদিনীর স্বামী ফোনে জানান, তিনি কেরলে রয়েছেন। এই বিষয়টির কথা শুনেছেন। ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।