আসানসোল: বিজেপি প্রার্থীর ডিসিআর কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল শাসক দলের বিরুদ্ধে। সোমবার মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার তৃতীয় দিন আসানসোলের জামুড়িয়া ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপি প্রার্থী মন্ত্রীময় ঘোষের মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার জন্য ডিসিআর সহ অন্য কাগজপত্র কেড়ে নেওয়া ও মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে মনোনয়ন পত্র জমা নেওয়ার কেন্দ্রে পুলিশের ভূমিকায় প্রতিবাদ করায় বিডিও অফিস থেকে বিজেপির আসানসোল সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়কে কার্যত ধাক্কা দিয়ে বার করার অভিযোগ উঠল জামুড়িয়া থানার পুলিশের বিরুদ্ধে।
যদিও বিজেপি প্রার্থীর কাছ থেকে ডিসিআর কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে জামুড়িয়া ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। পুলিশ জানায়, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মতো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রার্থী না হওয়া সত্ত্বেও নিয়ম ভেঙে যারাই বিডিও অফিসে ঢুকেছেন, তাদেরই বার করা হয়েছে।
এদিক বিজেপি নেতা মন্ত্রীময় ঘোষ অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি জামুড়িয়া ব্লকের পরাশিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পঞ্চায়েত সমিতির জন্য মনোনয়ন পত্র জমা দিতে এসেছিলাম। মনোনয়ন পত্রের জন্য ডিসিআর সহ অন্য কাগজপত্র নিয়ে বিডিও অফিস থেকে বার হবার পর আমাকে তৃণমূলের লোকজন ঘিরে ধরে ব্যাপক মারধর করে। আমার হাতে থাকা মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কাগজপত্র সব কেড়ে নেওয়া হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন। সেই সময় ঘটনাস্থলে পুলিশ না থাকলেও, পরে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে।
বিজেপির জেলা নেতা বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘পুলিশ তৃণমূল কংগ্রেসের দলদাসে পরিণত হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা দেখলে পুলিশ তাদের চা বিস্কুট খাওয়াচ্ছে। আর বিরোধীদের দেখলে, বার করে দিচ্ছে। আমি পুলিশকে তাদের কি কাজ তা বোঝাতে গিয়েছিলাম। তাই আমাকে ধাক্কা দিয়ে বার করে দেওয়া হল। যদিও বিজেপির এইসব অভিযোগ অস্বীকার করে জামুড়িয়া ব্লকের সভাপতি সুব্রত ওরফে রানা অধিকারী বলেন, আমাদের কেউ কোনও কিছু করেনি। বিরোধীদের কোনও কিছু নেই। মিথ্যা অভিযোগ করে বাজার গরম করার চেষ্টা করছে।