কিশনগঞ্জ: রেলের নির্মাণকাজে বিনা অনুমতিতে সরকারি বিদ্যুৎ ব্যবহারের অভিযোগ উঠল। কিশনগঞ্জ রেলস্টেশনে অমৃত ভারত স্টেশন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে। অভিযোগ, এই কাজের ভারপ্রাপ্ত ঠিকাদার সংস্থা রেলের বিনা অনুমতিতে নির্মাণকাজে সরকারি বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন। এর ফলে রেলের প্রচুর রাজস্বের ক্ষতি হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, এই স্টেশনের এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঠিকাদার সংস্থার কর্মীরা নতুন ফ্লোর মার্বেল লাগাচ্ছে। সেজন্যে আগে লাগানো ফ্লোর মার্বেল জ্যাক হ্যামার দিয়ে ভাঙা হচ্ছে। কোনও সাব মিটার ছাড়াই এই কাজে রেলের বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হচ্ছে। এরফলে যেকোনও সময় স্টেশনে শর্টসার্কিট জনিত বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কাও রয়েছে। স্টেশনের মোবাইল চার্জিং পয়েন্ট থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে পাথর ভাঙার জ্যাক হ্যামার মেশিন চালানো হচ্ছে। এতে আরও বিপদের সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। রেলের থেকে আইনি পথে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে ঠিকাদার কাজ করবেন বলেই নিয়ম। আর যে সাইটে কাজ হবে সেখানেও সাবমিটার লাগানো থাকবে। আর সাইটের কাজে কত বিদ্যুতের খরচ হল তা সাব মিটার দেখে রেলকে রাজস্ব দেবে সংস্থা। এই স্টেশনে কর্মরত সংস্থাটি শুধুমাত্র নিজের স্টোরে আইনি বিদ্যুতের মিটার লাগিয়েছেন। কিন্তু সাইটে কোনও সাবমিটার লাগায়নি বলে অভিযোগ।
এই প্রসঙ্গে তাদের জিজ্ঞাসা করলে কোনও সদুত্তর দেয়নি। রেলের স্থানীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ দপ্তরের আধিকারিক ও ইঞ্জিনিয়াররা প্রকাশ্যে সবকিছু দেখেও নীরব। সংস্থার ইঞ্জিনিয়ার সৌরভ কুমার জানান, স্টোরে মিটার লাগানো হয়েছে। কিন্তু সাইটে সাব মিটার লাগানো হয়নি। কাটিহার রেলের এডিআরএম চৌধুরি বিজয়কুমার জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শুরু হবে।