চোপড়া: বিরোধী নেতাদের পথ আটকে তাঁদের গাড়িতে হামলা, মারধর এবং ৫ জনকে অপহরণের অভিযোগ উঠল চোপড়ায়। অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও তা অস্বীকার করেছেন তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেলে মনোনয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনার জন্য পৃথক তিনটি গাড়িতে বিডিও অফিসে আসছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সদস্য তথা চোপড়া ব্লক নির্বাচনি কমিটির চেয়ারম্যান অশোক রায়, সিপিএমের চোপড়া ২ এরিয়া কমিটির সম্পাদক বিদ্যুৎ তরফদার, সিপিএমের যুব নেতা আনসার আলি সহ আরও বেশ কয়েকজন।
অভিযোগ, সেই সময় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বিডিও অফিসের প্রায় দেড় কিলোমিটার আগে হাতিঘিসা এলাকায় রাস্তা আটকে তাঁদের ওপর হামলা চালায়, মারধর করে। এমনকি অশোক, বিদ্যুৎ, আনসার সহ ৫ জনকে অপহরণের অভিযোগও উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।
ঘটনার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। ঘিরনিগাঁওয়ের লালবাজার, দাসপাড়া সহ একাধিক এলাকায় কংগ্রেস ও সিপিএম সমর্থকরা রাস্তা অবরোধ করেন। খবর পেয়ে অশোক রায়ের স্ত্রী তথা চোপড়া পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি নমিতা রায় সহ অন্য কংগ্রেস নেতারা চোপড়া থানায় পৌঁছোন। নমিতাদেবীর অভিযোগ, তৃণমূল দুষ্কৃতীরা এই ঘটনায় জড়িত। অশোক রায় সহ বাকিদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
যুব কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি মেহবুব আলম জানান, তিনি গাড়িতেই ছিলেন। কোনওরকমে পালিয়ে থানায় আশ্রয় নিয়েছেন। সিপিএমের উত্তর দিনাজপুর জেলা সম্পাদক আনওয়ারুলের বক্তব্য, এই ঘটনায় তাঁদের দুজন পালিয়ে বাঁচলেও দুজন এখনও নিখোঁজ।
অন্যদিকে, অভিযোগ অস্বীকার করে চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমানের কটাক্ষ, ‘বিরোধী শিবিরে লোক নেই। তাই প্রচারে আসার জন্য নাটক শুরু করেছে।’
চোপড়া থানার আইসি সঞ্জয় সিংহ জানিয়েছেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিখোঁজদের উদ্ধারের ব্যাপারে তৎপরতা শুরু করেছে পুলিশ।