পঙ্কজ মহন্ত, বালুরঘাট: বালুরঘাটে রয়েছে একাধিক প্রশাসনিক দপ্তর। তাই জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধারণ মানুষ একাধিক কাজে বালুঘাটে আসেন। কিন্তু পানীয় জল নিয়ে বেগ পেতে হয় তাদের। তাই স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে সকলেরই পানীয় জল (Drinking Water) নিয়ে সমস্যা দূর করতে পদক্ষেপ করল বালুরঘাট পুরসভা। গ্রীষ্ম শুরুর আগেই প্রায় এক কোটি টাকা খরচে ৩০ টি পানীয় জলের রিজার্ভার বসছে বালুরঘাটে। ইতিমধ্যেই ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ভিতপুজো সেরে ফেলেছেন পুরপ্রধান।
বালুরঘাট পুরসভার প্রধান অশোক মিত্র জানান, ‘নিজের ওয়ার্ডে কমিউনিটি হলের সামনে পানীয় জলের কাজ শুরুর জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছি। এক্ষেত্রে প্রায় তিন লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। এখানে বিভিন্ন সভা, সমিতি সহ ভোটগ্রহণ কেন্দ্র হয়। বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এটি। প্রতিটি ওয়ার্ডেই এই কাজ শুরু হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে ৩০ টি মেশিনের জন্য প্রায় এক কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। আগামীতে শহরের বিভিন্ন জায়গায় আরও ২৫ টি পানীয় জলের মেশিন বসানো হবে।’
উত্তমাশা এলাকার বাসিন্দা অপূর্ব চক্রবর্তী বলেন, ‘বাড়ি বাড়ি যে পানীয় জলের লাইন গিয়েছে তার জল স্নান, জামাকাপড় কাচা সহ বিভিন্ন কাজে লাগে। তাতে অনেক উপকার হয়েছে ঠিকই। কিন্তু সেই জল খাওয়ার মতো নয়। এখন প্রতি ওয়ার্ডে যদি পানীয় জলের রিজার্ভার বসে তাহলে কষ্ট অনেকটাই লাঘব হবে। কিন্তু কবে সম্পূর্ণরূপে তা পাওয়া যাবে, এখন সেটাই দেখার।’
শহরে বেড়ে চলা জনঘনত্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শহরের পরিধি গত কয়েক বছরে অনেক গুণ বেড়েছে। তার সঙ্গে শহরে নতুন তিনটি ওয়ার্ডও সংযুক্ত হয়েছে। বর্তমানে বালুরঘাট পুরসভায় ২৫ টি ওয়ার্ড রয়েছে। গ্রীষ্মকালে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ চলতে থাকে। যার ফলে ব্যতিব্যস্ত হয়ে ওঠে নাগরিক জনজীবন। বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দারা পানীয় জলের জন্য রাস্তার ধারে থাকা পিএইচই’র ট্যাপকল ব্যবহার করেন। মাঝে মধ্যে তা দিয়ে ঘোলা জল বের হয় বলে অভিযোগ অনেকের। যদিও বর্তমানে অধিকাংশ বাড়িতেই পুরসভার তরফে পানীয় জল পৌঁছে গিয়েছে। কিন্তু সেই জল পান করতে অনেকেই দ্বিধাবোধ করছেন। ফলে শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে পানীয় জলের রিজার্ভার বসানোর কাজে হাত লাগালো পুরসভা। প্রতিটি ওয়ার্ডেই একটি করে মেশিন বসানো হবে। তবে কয়েকটি ওয়ার্ড আয়তনে তুলনামূলক বড়। সেখানে একাধিক মেশিন বসতে পারে। শহর জুড়ে মোট ৩০ টি রিজার্ভার প্রথম পর্যায়ে বসানো হবে। যেখানে প্রায় এক কোটি টাকা অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। গরম শুরুর আগেই এমন উদ্যোগের ফলে আশাবাদী শহরবাসী। পানীয় জল পেলে সমস্যা থেকে অনেকটাই রেহাই পাওয়া যাবে বলে বাসিন্দাদের মত।