উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: হঠাৎ ফোন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর ফোন পেয়ে লক্ষ্মীবারে দিল্লি রওনা হলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সুত্র বলছে, আজ রাতেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সাথে বৈঠকে বসবেন তিনি। তবে প্রশ্ন হচ্ছে কেন দিল্লি থেকে জরুরি তলব দিলীপকে? লোকসভা নির্বাচনের আগে দিলীপের মুকুটে কি নতুন কোন পালক জুড়তে চলেছে? নাকি সদ্য দলের যাবতীয় পদ হারানো এই পুরনো সৈনিকের মান ভাঙানোর জন্য শায়ের ডাক? এইসব নিয়ে জল্পনার উদ্রেক হয়েছে পদ্ম শিবিরের অন্দরে।
দলের রাজ্য সহ সভাপতির পদ থেকে গত ২৯ জুলাই দিলীপ ঘোষকে সরানো হয়। তারপর থেকে দিলীপের একমাত্র পরিচয় ছিল মেদিনীপুরের সাংসদ। তাঁর পদে বসানো হয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একজনকে। তবে দিলীপকে কেন পদচ্যূত করা হল তা নিয়ে কেন্দ্রের তরফ থেকে স্পষ্টভাবে কিছুই বলা হয়নি। দিলীপ ঘোষ নিজে অবশ্য বলেছিলেন, সাংসদেরা যাতে লোকসভা নির্বাচনের আগে নিজ নিজ এলাকায় বেশি সময় দিতে পারেন সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত। যদিও রাজ্য বিজেপি বলছে অন্য কথা। দিলীপ ঘোষ বারাবার দলের অন্দরে ও বাইরে রাজ্য বিজেপির ত্রুটি নিয়ে মুখ খুলেছেন বলে ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তবে যে কারণেই পদ থেকে সরানো হোক না কেন, দিলীপ নিজেই ক্ষুব্ধ ছিলেন পদ হারানোর পর। রাগের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে সাংসদ নিজের লোকসভা এলাকার বাইরে বিশেষ রাজনৈতিক কর্মসূচি নিচ্ছিলেন না। যদিও বৃহস্পতিবার ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের জন্য প্রচারকদের যে তালিকা রাজ্য বিজেপি প্রকাশ করেছে, তাতে নাম রয়েছে দিলীপের। তারই মধ্যে দিলীপকে তলব অমিত শায়ের।
সম্প্রতি বঙ্গ সফরে এসেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। দিলীপের সাথে নাড্ডার তিনটি কর্মসূচিতে দেখা হয়। তবে সেটা নাকি সৌজন্য সাক্ষাৎ। দলের অন্দরে একদল সদস্যের মতে, দিলীপ ঘোষ পশ্চিমবাংলায় সবচেয়ে সফল নেতা। যখন তিনি রাজ্য সভাপতি পদে ছিলেন তখন লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য ফলাফল করেছিল বিজেপি। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপির ফল খুব শোচনীয়। কোথায় কোথায় দুর্বলতা রয়েছে বিজেপিতে তা জানতেই আলোচনা চেয়েছেন অমিত শা। অন্যদিকে আরও একটি জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে, দিলীপকে নাকি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী করা হতে পারে। কিন্তু এই জল্পনাকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে নারাজ দিলীপ ঘনিষ্ঠরা।