উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অমিত শায়ের পর এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ তথা গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের নেতা নগেন রায় তথা অনন্ত মহারাজ(Ananta Maharaj)। আজ শুক্রবার তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। তবে বৈঠকের বিষয়বস্ত নিয়ে খোলসা করে কিছু জানাননি অনন্ত। বৈঠকের কথা স্বীকার করে অনন্ত বলেন, ‘দু’জনের সঙ্গেই সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ হয়েছে। আর যে বিষয়েই আলোচনা হয়ে থাকুক সেটা সফল হয়েছে।’
সম্প্রতি কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনাগ্রস্ত হওয়ার পর আহতদের দেখতে শিলিগুড়িতে যান মমতা। সেখান থেকে কোচবিহারে(Cooch Behar) যান তিনি। কোচবিহারে মদনমোহন মন্দিরে পুজো দিয়ে চকচকায় অনন্ত মহারাজের বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন। অনন্তও মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। তারপর থেকেই অনন্ত মহারাজের ভূমিকা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা শুরু হয়। বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকেই অনন্ত মহারাজ বিজেপিকে নিয়ে খানিকটা বেসুরো। কোচবিহার কেন্দ্রে বিজেপি(BJP) প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের হয়ে প্রচারেও দেখা যায়নি তাঁকে। এমনকী রাজবংশী সমাজের মানুষদের প্রতি বিজেপিকে সমর্থন নিয়ে কোনও বার্তাও দেননি তিনি। এতে খানিকটা বিভ্রান্তি তৈরি হয়। যার সুফল তুলে নেয় তৃণমূল। কোচবিহার আসনে তৃণমূল প্রার্থীর কাছে হেরে জান নিশীথ। তারপর থেকেই বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে অনন্তর দূরত্ব আরও বাড়ে। এরই মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ দলের অনেকই ভালভাবে নেননি। দলীয় স্তরে এনিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেন অনেকে। অনন্ত তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনা শুরু হয়।
এদিন সেই জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে অনন্ত বলেন, ‘এসব জল্পনার কোনও উত্তর হয় না। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আমার বাড়িতে গিয়েছিলেন। আমি স্বাগত জানিয়েছি। এর বেশি তো কিছু নয়।’ একই সঙ্গে শাহ ও মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি। একজন বিজেপি কর্মী এবং সাংসদ হিসাবে এতে নতুন কী রয়েছে?’ তবে রাজনৈতিক মহলের ধারণা, মোদি-শায়ের সঙ্গে দেখা করে এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চাইছেন কৌশলী এই নেতা। প্রথমত দলবদলের জল্পনা নস্যাৎ করে তিনি এটা প্রমাণ করে দিতে চান তিনি বিজেপির সঙ্গেই আছেন। অন্যদিকে, রাজ্যের যে নেতারা তাঁকে কোনও গুরুত্ব দেন না, তাঁদেরকেও বার্তা দিতে চেয়েছেন অনন্ত।