দীপেন রায় ও নীলাংশু চক্রবর্তী, মেখলিগঞ্জ: তৃণমূল যুবর কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক তথা পরেশ-পুত্র হীরকজ্যোতি অধিকারীর প্রয়াণের পর মেখলিগঞ্জে (Mekhliganj) বিধায়কের অনুগামীরা সওয়াল করেন অঙ্কিতা (Ankita adhikari) রাজনীতিতে নামুন। অনুগামীদের নিরাশ করেননি পরেশ-কন্যা। সম্প্রতি তৃণমূল যুবর একাধিক কর্মসূচিতে অঙ্কিতাকে দেখা গিয়েছে। যুবর পাশাপাশি মেখলিগঞ্জের তৃণমূলের (Trinamool) একটি জনসভাতেও দেখা গিয়েছে। মেখলিগঞ্জের যুবর একাংশ আবার অতি উৎসাহী হয়ে হ্যাশট্যাগ অঙ্কিতা অধিকারী করে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social media) পোস্ট শুরু করেছে মেখলিগঞ্জ নিজের দিদিকে চায়। এই পরিস্থিতির মধ্যেই সোমবার এসএসসি (SSC) শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির চার্জশিট আদালতে পেশ করে সিবিআই (CBI)। সেখানে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও বাবা পরেশ অধিকারীর নামের পাশাপাশি রয়েছে অঙ্কিতার নামও। এতেই অঙ্কিতা রাজনীতিতে আসুন সেই সওয়াল প্রশ্নের মুখে পড়েছে। যদিও অঙ্কিতা অনুগামীরা এখনও তাঁর পক্ষেই সওয়াল করছেন।
মেখলিগঞ্জ তৃণমূল যুবর (Mekhliganj trinamool youth congress) সভাপতি জ্যোতিষ রায় বলেন, ‘বিজেপি (BJP) তৃণমূলের সঙ্গে লড়াই করতে না পেরে কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতায় কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে কাজে লাগাচ্ছে। তাই আমরা ওসব নিয়ে ভাবছি না।’ যদিও দলের অন্দরেই প্রকাশ্যেই অনেকেই চাইছেন না অঙ্কিতা রাজনীতিতে আসুন। তৃণমূল যুবর জেলা সাধারণ সম্পাদক তথা মেখলিগঞ্জ ব্লকের প্রাক্তন যুব সভাপতি বাপ্পা মণ্ডল বলেন, ‘আমাদের একটাই দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর বাইরে কোনও দিদির অনুগামী নই আমরা।’ তাঁর সংযোজন, ‘অঙ্কিতা যুবর কোনও পদে নেই। কেউ নিজে থেকে দলের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করলে কিছু করার নেই। তাঁর জন্য দলের অনেক বদনাম হয়েছে। আমরা চাই তাঁর জন্য দল আরও অস্বস্তিতে না পড়ুক।’
যদিও জেলা নেতৃত্বর মুখে কুলুপ। জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি লক্ষ্মীকান্ত সরকার বলেন, ‘যে কেউ দলের কর্মসূচিতে সমর্থক হিসাবে অংশগ্রহণ করতে পারে। সেই হিসাবে অঙ্কিতাকে দেখা গিয়েছে। দলের পদ পাবে কি না সেটি উচ্চ নেতৃত্ব ঠিক করবে।’ একই মত তৃণমূল যুবর জেলা সভাপতি কমলেশ অধিকারীর। তাঁর বক্তব্য, ‘বিধায়ক পরেশ অধিকারীর বয়স হচ্ছে। এই সময়ে বাবার পাশে থেকে দলের কাজে বাবাকে সাহায্য করতে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে অঙ্কিতা।’ এ প্রসঙ্গে অঙ্কিতার সংক্ষিপ্ত মন্তব্য, ‘বিচারাধীন মামলা নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।’