উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, ততই বিভিন্ন জেলা থেকে আসছে হিংসার খবর। কখনও শাসকদলের কর্মীদের ওপর হচ্ছে সশস্ত্র হামলা, আবার কখনও হামলার শিকার হচ্ছেন বিরোধীরা। এবার আরও একটি সশস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটল রায়গঞ্জে। আক্রান্ত হলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী। তাকে খুনের চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তৃণমূল এই ঘটনার দায় চাপিয়েছে বিজেপির ওপরে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এবার প্রকাশ্যে হামলা করা হল তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর উপর। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার করে বাড়ি ফেরার সময় অনেকটা রাত হয়ে যায়। তবে রাতের মধ্যেই বাড়ি ফিরছিলেন ওই তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী। ফেরার পথে জগদীশপুর এলাকার কুমারপাড়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে এলাকায় ঘাপটি তার ওপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই ধারাল অস্ত্রের সাহয্যে এই হামলা চালিয়েছে। ঘটনাস্থলে কয়েক রাউন্ড গুলি চালনার ঘটনাও ঘটে। তবে গুলির শব্দে ওই রাতে অনেকের ঘুম ভেঙে যায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার বেশি রাতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার করে বাড়ি ফিরছিলেন পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রার্থী লোকেস্বর বর্মণ ও তার দাদা। তখন কেউ বা কারা তাঁদের উপর সসস্ত্র হামলা করে। দু’রাউন্ড গুলি চলার প্রমাণ মিলেছে। তবে গুলি তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর গায়ে লাগেনি। গুলির শব্দ পেয়ে ঘটনাস্থলে চলে আসেন স্থানীয়রা। সেই সময়ই দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। আর আহত তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী এবং তাঁর দাদাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এখন সেখানেই তাঁরা চিকিৎসাধীন। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আক্রান্ত তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হাসপাতালের বেডে শুয়ে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রচার করে বাড়ি ফেরার সময় আমার উপর হামলা করেছে বিজেপি। ধারাল অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়েছে। এমনকী প্রাণে মেরে ফেলতে গুলিও চালিয়েছিল। যা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এখানে বিজেপি হেরে যাবে বলে এই হামলা করেছে।’ যদিও সমস্ত ঘটনাকে সাজানো বলে দাবি করেছেন বিজেপির নেতা অভিজিৎ যোশী। তিনি বলেন, ‘এটা তৃণমূলের নিজেদের গোষ্ঠীকোন্দল। বিজেপির ঘাড়ে চাপানো হচ্ছে।’