উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: প্রকৃতির রোষে তছনছ হয়েছে সিকিম। মেঘভাঙা বৃষ্টিতে কার্যত ধ্বংসের আকার ধারণ করেছে সিকিম। সূত্রের খবর, সেখানে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। ১০২ জনের এখনও কোনও খোঁজ নেই। জখম হয়েছেন ২৬ জন। এখনও পর্যন্ত ১৪টি সেতু ভেঙে পড়েছে। প্রায় ৩ হাজার আটকে পড়েছে সিকিমে। সে রাজ্যের সরকারের তরফে ২২টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। প্রায় ২ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, ২২ জন জওয়ান এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার গভীর রাতে প্রবল বৃষ্টির জেরে উত্তর সিকিমের চুংথাং এলাকায় দক্ষিণ লোনাক লেক থেকে জল উপচে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়ে পড়ে তিস্তা নদী। সঙ্গে সঙ্গেই তিস্তায় জলস্তর অন্তত ১৫-২০ ফুট বেড়ে যায়। প্রবল বেগে ফুঁসতে থাকে তিস্তা। সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গের তিস্তা সংলগ্ন এলাকার মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। প্রবল জলস্ফীতিতে উত্তরবঙ্গের গাজলডোবা, দোমোহনি, মেখলিগঞ্জ, ঘিস এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তিস্তায় জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে বৃহস্পতিবারই উত্তরবঙ্গে পৌঁছেছেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। অন্যদিকে, দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তাও বিভিন্ন দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে উদ্ধারকাজের তদারকি করছেন। বিপর্যস্ত সিকিমের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।