দিনহাটাঃ গত ১৮ জুন পাট খেত থেকে এক বিজেপিকর্মীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে কোচবিহার জেলার সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশ। মৃতের নাম শম্ভু দাস, পেশায় গৃহশিক্ষক। তিনি আবার স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রার্থী বিশাখা দাসের দেওর। বিজেপির সরাসরি অভিযোগ রাজনৈতিক কারণেই শম্ভুকে হত্যা করেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। শনিবার মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে বেলা ১২টা নাগাদ দিনহাটা ২ ব্লকের কিশামতদশ গ্রাম গ্রামপঞ্চায়েতের টিয়াদহ গ্রামে যান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সেখানে নিহত ওই যুবকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি শম্ভুর প্রতিকৃতিতে মালা দেন তিনি। এরপর অভিযোগ নথিভুক্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিয়ে বেরিয়ে যান তিনি।
এদিকে রাজ্যপালের আসার খবর ছড়িয়ে পরতেই এলাকায় ভীড় জমে যায় বিজেপি নেতা কর্মীদের। রাজ্যপালকে সামনে পেয়ে বিজেপিকর্মীরা তৃণমূলের সন্ত্রাস নিয়ে নানান অভিযোগ করেন। বিজেপি নেতারা রাজ্যপালকে জানান, পঞ্চায়েতের মনোনয়নের পর থেকেই উদয়ন গুহের মদতেই সন্ত্রাস চলছে। এছাড়া মনোনয়ন প্রক্রিয়ার সময় থেকেই তৃণমূলের সন্ত্রাসের কারণে এখনও বহু বিজেপি প্রার্থী ঘরছাড়া রয়েছেন। তাদের ফিরিয়ে আনতে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি করেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুন সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিজেপির প্রার্থী বিশাখা দাসের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে পাট খেতে বিজেপি প্রার্থীর দেওর তথা পেশায় গৃহশিক্ষক বছর আঠাশের শম্ভু দাসের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশ। বিষয়টিকে ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে রাজনৈতিক সন্ত্রাস ও প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলেছিলেন। রাজনৈতিক যোগ অস্বীকার করেছিলেন তৃনমুল বিধায়ক উদয়ন গুহও। পুলিশও প্রাথমিক তদন্তে খুনের পেছনে ব্যক্তিগত ও প্রেমঘটিত কারণ রয়েছে বলে দাবি করেছিল।