উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: রামকৃষ্ণ মিশন ও ভারত সেবাশ্রম সংঘের সাধুদের একাংশের বিরুদ্ধে সরাসরি বিজেপির হয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। যেই মন্তব্য নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে রাজ্যজুড়ে। এরই মধ্যে রবিবার রাতে শিলিগুড়ির সেবক রোডে জলপাইগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনের একটি ভবনে সন্ন্যাসী আবাসে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা এবার সেই প্রসঙ্গে সুর চড়ালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi)। সোমবার ঝাড়গ্রামের একটি জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জলপাইগুড়িতে রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমে গতকাল রাতে হামলা হয়েছে। আশ্রমের লোকজনকে মারধর করা হয়েছে। তাদের হুমকি দেওয়া হয়েছে. কখনও বাংলায় রামকৃষ্ণ মিশনকে হুমকি দেওয়া হবে তা সারা দেশের মানুষ কখনও ভাবতে পারেন নি। নিজেদের ভোটব্যাংককে খুশি করতে তৃণমূল সরকার সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। আমাদের সন্তদের এই অপমান বাংলা কখনও সহ্য করবে না।’
রামকৃষ্ণ মিশনের সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তারপরই কড়া ভাষায় বলেন, ‘বাংলায় রামকৃষ্ণ মিশনের আশ্রমে হামলা হয়েছে। মিশনকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। রামকৃষ্ণ মিশনকে অপমান মানে দেশের সাধু ও সন্তদের অপমান। এই অন্যায় সহ্য করবে না বাংলা।‘ অন্যদিকে, বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘একদিকে মুখ্যমন্ত্রী রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম, ইস্কনের মতো প্রতিষ্ঠানকে অপমান করেছেন। অন্যদিকে, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা মিশনের সন্ন্যাসীদের আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে হুমকি দিচ্ছেন। এভাবে চলতে পারে না। অবিলম্বে এ বিষয়ে পদক্ষেপ করা উচিত। রাজ্যজুড়ে এ নিয়ে প্রতিবাদও জানানো হবে।‘
প্রসঙ্গত, রবিবার রাতে শিলিগুড়িতে (Siliguri) জমি মাফিয়াদের (Land Mafia) হাতে আক্রান্ত রামকৃষ্ণ মিশনের (Ramakrishna Mission) সন্ন্যাসীরা। আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সন্ন্যাসীদের উপর হামলা চালায় একদল গুন্ডা। শুধু তাই নয়, পাঁচ সন্ন্যাসী এবং নিরাপত্তারক্ষীকে অপহরণ করে রাতে নিউ জলপাইগুড়ি রেলস্টেশন লাগোয়া এলাকা সহ বিভিন্ন জায়গায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনার নিন্দায় সরব বিভিন্ন মহল। কমিশনারেট এলাকায় সন্ন্যাসীদের উপর হামলায় উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষজনও। প্রশ্ন উঠছে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে।