বালুরঘাট: এক বাতিক্রমী ঘটনার সাক্ষী রইল বালুরঘাট হাসপাতাল (Balurghat Hospital)। পথদুর্ঘটনায় মৃত এক সারমেয় সাবকের ময়নাতদন্ত হল বৃহস্পতিবার। ময়নাতদন্তের সময় উপস্থিত ছিলেন একাধিক পশুপ্রেমী। পশু পথ দুৰ্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী পশুপ্রেমী রত্না রায় থানায় সংশ্লিষ্ট গাড়ি চালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের এই পদক্ষেপ।
মমান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে বুধবার সকাল পৌনে ১১টা নাগাদ বালুরঘাটের রঘুনাথপুরে। ডাঙা পঞ্চায়েতের পশুপ্রেমি রত্না রায়ের চোখের সামনে একটি চারচাকা গাড়ি রাস্তার ধারে থাকা একটি সারমেয় শাবকের মাথা থেঁতলে চলে যায়। তিনি তৎক্ষণাৎ গাড়ির প্লেট দেখে নম্বর টুকে রাখেন। পরে পথপশুদের ওপর নৃশংসতার অভিযোগে বালুরঘাট থানার দ্বারস্থ হন রত্নাদেবী। তদন্তের অগ্রগতির স্বার্থে মৃত সারমেয় শাবকের ময়নাতদন্তের দাবি করেন। তাঁর প্রস্তাব সমর্থন করেন অ্যানিমাল ওয়েলফেয়ার বোর্ড অফ ইন্ডিয়া’র জেলা প্রতিনিধি পশুপ্রেমি ব্রতীন চক্রবর্তী।
ঘটনার উল্লেখ করে রত্না বায় বলেন, ‘রঘুনাথপুরে স্কুল পাড়ার ছোট গলির মধ্যে ওই গাড়িটি ইচ্ছাকৃতভাবেই সারমেয় শাবকের মাথা পিষে দেয়। আমি বাড়ির উঠোন ঝাড় দিচ্ছিলাম। ঝাঁটা হাতেই গাড়ির পিছনে দৌড় লাগাই। নাগাল পাইনি। বাতক গাড়ি চালকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার একমাত্র রাস্তা ছিল গাড়ির নম্বর। পথে যত্রতত্র ঘুরে বেড়ানো সারমেয়দের জীবন সুরক্ষার কথা চিন্তা করে এই পদক্ষেপ। কুকুররা যাতে সুরক্ষিত থাকে।’
এই বিষয়ে পশুপ্রেমী ব্রতীন চক্রবর্তী জানান, ‘রত্নাদেবী বিষয়টি জানালে আমি ওনাকে থানায় যাওয়ার পরামর্শ দিই। পুলিশ যথেষ্ট সাহায্য করেছে। সাংসদ তথা পিপল ফর অ্যানিমালসের কর্ণধার মানেকা গান্ধিকেও বিষয়টি জানাই। বৃহস্পতিবার ওই সারমেয় শাবকের ময়নাতদন্তের সময় হাসপাতালে ছিলাম। ছিলেন থানার ইনভেস্টিগেশন অফিসার। সকলকে সচেতনভাবে গাড়ি চালানোর জন্য অনুরোধ জানাই।’
বালুঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা জানান, ‘পথ দুর্ঘটনায় একটি সারমেয় শাবকের মৃত্যু সংক্রান্ত অভিযোগ জমা পড়েছে। নির্দিষ্ট ধারায় মামলা হয়েছে। ওই সারমেয়র মৃতদেহ পশু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত হয়েছে।’