নীলাংশু চক্রবর্তী, জামালদহ: রাজ্যের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র দিকে আঙুল উঁচিয়ে তেড়ে গেলেন এক তৃণমূল কর্মী। শনিবার বিকেল ৪.৩০টা নাগাদ কোচবিহার জেলার জামালদহে পাঠাগার ক্লাবের সামনে জাতীয় সড়কে ঘটনাটি ঘটেছে। দুজনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়। পরে পুলিশ ও দলীয় নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে এদিন বিকেল ৩.৩০টা নাগাদ জামালদহে একটি প্রচার সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে মুখ্য বক্তা হিসেবে আমন্ত্রিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। এজন্য প্রস্তুতিও সেরে রেখেছিলেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। এদিন বাবুল জামালদহে আসেন। আশপাশের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। করেন খুলি বৈঠকও। একাংশ তৃণমূল কর্মীর অভিযোগ, প্রখর তাঁরা রোদে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকলেও সভাস্থলে মন্ত্রীর দেখা মেলেনি। সেকারণে অনেক কর্মী-সমর্থক সভাস্থল ছেড়ে চলে যান।
এই ক্ষোভে পাঠাগার ক্লাবের সামনে জাতীয় সড়কে কয়েকজন তৃণমূল কর্মী বাবুল সুপ্রিয়র গাড়ি ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান। ঘটনাকে ঘিরে সাময়িক উত্তেজনা ছড়ায়। এক দলীয় কর্মীকে বাবুলের দিকে আঙুল উঁচিয়ে তেড়ে যেতে দেখা যায়। পরে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সেই সময় কয়েকজন তৃণমূল কর্মী দুপুরের খাবার খেতে চ্যাংরাবান্ধা যাওয়া নিয়ে বাবুলকে কটাক্ষ করেন। সেটা শুনে মন্ত্রী রেগে যান। একটি মুড়ির কৌটো দেখিয়ে বলেন, ‘দুপুরের খাবার খাননি। শুধু মুড়ি খেয়ে আছেন।’ বাবুল সুপ্রিয়কে বলতে শোনা যায়, তাঁকে সভার সময় সাড়ে তিনটের কথা বলা হলেও, সেই সময় সভা শুরু হয়নি। তাই তিনি শুধু রাস্তায় এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এরপর ঘটনাস্থলে উপস্থিত তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের অনুরোধে বরফ গলে। সভা মঞ্চে যান বাবুল। যদিও গুটিকয়েক কর্মী-সমর্থক সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
এদিনের ঘটনা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি কেশবচন্দ্র বর্মনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন তোলেননি। তবে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের মেখলিগঞ্জ ব্লক সভাপতি জ্যোতিষ রায় বলেন, ‘এটা সামান্য ঘটনা।’