নিবেদিতা দাস, মাটিগাড়া: বেহাল রাস্তার কারণে বিয়ে হচ্ছে না যুবক-যুবতীদের! হ্যাঁ, শুনতে অবাক লাগলেও এমনই ঘটছে মাটিগাড়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের শিমুলতলায়। এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, রাস্তা না জলাশয়, দূর থেকে তা ঠাহর করাই মুশকিল। বাসিন্দাদের পাশাপাশি পড়ুয়ারা সেই জল ডিঙিয়েই যাতায়াত করছে। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তির জন্য গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শিমুলতলায় প্রায় দুশো পরিবারের বাস। অভিযোগ, গ্রামে যাতায়াতের রাস্তাটি প্রায় ২০ বছর বেহাল। প্রতি বর্ষায় তাতে জল-কাদা থইথই করে। তা পেরিয়েই সকলকে ব্যাংক, স্কুল, হাসপাতাল সর্বত্র যাতায়াত করতে হচ্ছে। ঢুকতে চায় না অ্যাম্বুল্যান্স। যার ফলে মুমূর্ষু রোগীদের নিয়ে সমস্যায় পড়েন পরিবারের লোকজন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ভোটের আগে ভুরিভুরি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নেতারা। কিন্তু আজও রাস্তা সংস্কার হয়নি। বেহাল রাস্তার কারণে এলাকার যুবক-যুবতীদের বিয়ে হচ্ছে না। স্থানীয় বাসিন্দা সুকু বর্মন বলেছেন, ‘জলকাদা পেরিয়ে কেউ এলাকায় বিয়ে করতে আসতে চায় না। গত দেড় বছর থেকে মেয়ের বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু রাস্তার বেহাল দশা দেখে পাত্রপক্ষ ঘুরে যাচ্ছে।’ আকালু রায় নামে আরেকজনের বক্তব্য, ‘একই কারণে মেয়ের বিয়ে দিতে অসুবিধের মুখে পড়তে হয়েছিল। শীতের সময় মাটির রাস্তায় কোনওমতে চলা গেলেও বর্ষায় প্রচণ্ড সমস্যা হয়। গ্রামে চলাচলের পথ পরিণত হয় জলাশয়ে।’
শিমুলতলার বাসিন্দারা আরও জানান, বর্ষায় রাস্তার পাশাপাশি জলে ডুবে থাকে গ্রামের অর্ধেক বাড়ি। নেই নিকাশি ব্যবস্থা, পথবাতি। সন্ধ্যা নামতেই গা ছমছমে পরিবেশ এলাকায়। অথচ পথবাতির জন্য তাঁদের ১২০ টাকা করে বিদ্যুতের বিল দিতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে প্রধান দীপালি ঘোষ বলেছেন, ‘শিমুলতলা গ্রামটি বালাসন নদীর খুব কাছে। নদীর তুলনায় গ্রামটি অনেকটাই নীচুতে অবস্থিত। সেকারণে জল বের করার রাস্তা পাচ্ছি না আমরা।’ পথবাতি প্রসঙ্গে তাঁর সাফাই, ‘প্রতিমাসে প্রচুর টাকা বিল আসে। তাই গ্রামবাসীদের থেকে পথবাতির জন্য বছরে একবার ১২০ টাকা করে নেওয়া হয়।’