খোকন সাহা, বাগডোগরা: কুয়াশার মধ্যে বিমান অবতরণে বাগডোগরা বিমানবন্দরে (Bagdogra airport) প্রয়োজন ছিল ইনস্ট্রুমেন্টাল ল্যান্ডিং সিস্টেম (আইএলএস) ক্যাটিগোরি ৩-সি’এর। অথচ বসানো হয়েছে ক্যাটিগোরি-২। ফলে দৃশ্যমানতা অস্বাভাবিক কম থাকায় সমস্যা হচ্ছে অবতরণে। অনেক সময় ফিরে যেতে হচ্ছে বিমানকে। এমনকি উড়াল বাতিল করতেও বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। যার জেরে যাত্রী ভোগান্তি চরমে। বাগডোগরা বিমানবন্দরে দ্রুত উন্নত প্রযুক্তির আইএলএস বসানোর দাবি তুলেছেন তাঁরা।
নতুন বছরের শুরু থেকেই শিলিগুড়ির (Siliguri) সহ গোটা উত্তরবঙ্গে (North Bengal) তাপমাত্রার পারদ নীচে নামতে শুরু করেছে। সেইসঙ্গে অনেকটা বেলা পর্যন্ত থাকছে কুয়াশার দাপট। বাগডোগরায় পৌঁছালেও আবহওয়ার কারণে আকাশেই ঘোরাফেরা করতে হচ্ছে বিমানকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাগডোগরা বিমানবন্দরের এক আধিকারিক জানালেন, আইএলএস ক্যাটিগোরি-২’এর ক্ষেত্রে দৃশ্যমানতা ১২০০ ফুট থাকলে তবেই বিমান নামতে পারে। এর থেকে কম থাকলে সেটা সম্ভব নয়। সেখানে ক্যাটিগোরি ৩-এ-তে ৭০০ ফুট, ক্যাটিগোরি ৩-বি-তে ১৫০ থেকে ৭০০ ফুট এবং ক্যাটিগোরি ৩-সি থাকলে অটো কন্ট্রোল হয়। ফলে অন্য বিমানবন্দরে তেমন সমস্যা হয় না।
ওই অধিকারিক বললেন, ‘আইএলএস বায়ুসেনার অধীনে। তাই আমরা ইচ্ছে করলেও কিছু করতে পারছি না। এছাড়া এখানে ‘গ্লাইট পাথ’ কাজ করছে না। এর কারণ, রানওয়ের পাশে বায়ুসেনার তরফে তোলা উঁচু প্রাচীর। সেটার উচ্চতা কমাতে বলা হয়েছে। তাহলে সমস্যা মিটে যেতে পারে।’
শুক্রবার বিমানবন্দরে গিয়ে দেখা গেল, কুয়াশার চাদরে মুড়ে রয়েছে আশপাশ। সকালের উড়ানগুলো বেলা সাড়ে ১০টার পরে নেমেছে। একসঙ্গে বেশ কয়েকটি বিমানের যাত্রীদের ভিড়ে ব্যাগ পেতে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে দীর্ঘ সময়। অসুবিধা হয় ট্যাক্সি পেতে। বিমানযাত্রী অমিত রায়ের অভিযোগ, ‘কুয়াশার জন্য উড়ান দেরি হলে সংযোগকারী উড়ান ধরতে সমস্যার মুখে পড়তে হয়। সময়ের অপচয় কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে। শীতকাল এলেই এধরনের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।’ শুক্রবার স্পাইসজেটের আমেদাবাদ-বাগডোগরা এবং গুয়াহাটি-বাগডোগরা-দিল্লি এই দুটি উড়ান বাতিল হয়েছে। অন্যদিকে স্পাইসজেটের দিল্লি-বাগডোগরা উড়ান নেমেছে সন্ধ্যা ৭টার পর।