খোকন সাহা, বাগডোগরা : এতদিন এখানে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিমান চলাচল করত। বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে এবারে রাত ১০টা পর্যন্ত বিমান চলাচল করবে। এই সুবাদে এই বিমানবন্দরে যাত্রীদের সংখ্যা অনেকটাই বাড়বে বলে কর্তৃপক্ষ মনে করছে। বিমান চলাচলের সময়সীমা বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্তকে পর্যটন সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মহল স্বাগত জানিয়েছে। বাগডোগরা বিমানবন্দরের সিনিয়ার ম্যানেজার সুভাষচন্দ্র বসাক বলেন, ‘রানওয়ের মেরামতের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। ইনস্ট্রুমেন্টাল ল্যান্ডিং সিস্টেমের (আইএলএস) একটা অংশ চালু করা হয়েছে। আরেকটি অংশে কিছুটা সমস্যা থাকলেও তা দ্রুতই ঠিক হয়ে যাবে।’
বাগডোগরা বিমানবন্দরে দিনকে দিন যাত্রীসংখ্যা বাড়ছে। দিনে এই বিমানবন্দর থেকে ২৭ জোড়া বিমান চলাচল করে। প্রতিদিন প্রায় নয় হাজার যাত্রী এই বিমানবন্দর দিয়ে যাতায়াত করেন। এই সুবাদেই এখানে বিমান চলাচলের সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। রাত ৮টা পর্যন্ত এখানে বিমান চলাচল করবে বলে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) গত ৮ মে জানিয়ে দিয়েছিল। এটিসি সূত্রেই খবর, এই সময়সীমাকেই বাড়িয়ে রাত ১০টা পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার থেকে আকাশা এয়ার এই বিমানবন্দর থেকে মুম্বই-বাগডোগরা উড়ান চালানো শুরু করে। এর আগে সংস্থাটি ১৭ এপ্রিল থেকে বেঙ্গালুরু-বাগডোগরা উড়ান পরিষেবা শুরু করেছিল। তবে গত ৩ মে থেকে গো এয়ার সংস্থাটি তাদের পরিষেবা বন্ধ করেছে। বর্তমানে এই বিমানবন্দর থেকে ইন্ডিগো, ভিস্তারা, এয়ার এশিয়া, স্পাইসজেট, ড্রুক এয়ারের পাশাপাশি আকাশা এয়ার পরিষেবা চালাচ্ছে। তবে দীর্ঘদিন ধরে স্পাইসজেটের বিমানগুলি অস্বাভাবিক দেরিতে চলাচল করায় যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ছে। যাত্রীদের অনেকের অভিযোগ, এর জেরে কানেক্টিং ফ্লাইট ধরতে তাঁরা সমস্যায় পড়ছেন। সংশ্লিষ্ট সংস্থার এক আধিকারিক অবশ্য বলেন, ‘রুটের তুলনায় আমাদের বিমানের সংখ্যা কম হওয়ায় এই সমস্যা হচ্ছে।’
যাত্রীদের সুবিধার্থে বাগডোগরা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ নানা চেষ্টা চালাচ্ছে। সম্প্রতি এই বিমানবন্দরে তিন নম্বর কনভেয়ার বেল্ট চালু করা হয়েছে বলে এখানকার আধিকারিক হিমাদ্রি দাস জানান। পাশাপাশি, বিমানবন্দরের একতলায় আরও একটি শৌচালয় চালু করা হয়েছে। বাগডোগরা বিমানবন্দরে বিমান চলাচলের সময়সীমা বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে পর্যটন মহল স্বাগত জানিয়েছে। হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড টুরিজম নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বললেন, ‘বিমান চলালের সময়সীমা বাড়লে পর্যটকদের সংখ্যা বাড়বে। এর জেরে এই অঞ্চলের আরও আর্থসামাজিক উন্নয়ন হবে।’