কুশমণ্ডি ও হরিরামপুর: ভোটগ্রহণ কেন্দ্র থেকে ব্যালট বাক্স বের করে, ভেঙে, ব্যালট পেপার ছিঁড়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হল কুশমণ্ডি ব্লকের ৪৩ নম্বর আদ্যখণ্ড বুথে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে ওই সংসদ এলাকায়। পুনরায় ভোটগ্রহণ হবে ওই বুথে বলে জানান কুশমণ্ডির বিডিও অমরজ্যোতি সরকার। শনিবার সকালে ওই ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট শুরু হলেও সাড়ে ১১টা নাগাদ পাশের বুথ দেহাবন্দ বুথের পঞ্চায়েত সদস্যের ব্যালট পেপার বেরিয়ে আসে বান্ডিল থেকে। বেশ কয়েকজন ভোটার ওই ব্যালট পেপারে ভোটও দিয়ে দেন। এরপর বিষয়টি জানাজানি হতেই ক্ষুব্ধ হন ভোটাররা। পাশের বুথের প্রার্থীর ব্যালট পেপার কিভাবে চলে এল আদ্যখন্ড বুথে? এই প্রশ্ন ঘুরতে থাকে এলাকার মানুষদের মধ্যে। এরপর দুপুর নাগাদ ভোটাররা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে ভোটগ্রহণ কেন্দ্র থেকে ব্যালট বাক্স বাইরে বের করে আনেন। সেটি ভেঙে ব্যালট পেপার বের করে নেন। এরপর ব্যালট পেপারগুলি পুড়িয়ে দেন।
অন্যদিকে, তৃণমূলের ছাপ্পা ভোটের প্রতিবাদ জানাল বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীরা। এদিন পুকুরে ব্যালট বাক্স ফেলে দেয় তাঁরা। তৃণমূলের একচেটিয়া ছাপ্পা ভোটের প্রতিবাদে ব্যালট পেপার ছিঁড়ে ব্যালট বক্স পুকুরে ফেলে দিল হরিরামপুর ব্লকের বহিরহাট্টা পঞ্চায়েত এলাকার ১১৬ নম্বর আশাদিঘি বুথের ক্ষুব্ধ ভোটাররা। ঘটনার খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান বিডিও পবিত্র লামা, আইসি অভিষেক তালুকদার সহ বিশাল পুলিশবাহিনী। ওই বুথের নির্দল প্রার্থী হায়দার আলির ভাই আমজাদ আলি বলেন, ‘কে বা কারা ব্যালট বাক্স ভোটকেন্দ্র থেকে বাইরে এনে পুকুরে ফেলে দিয়েছে তা জানা নেই। তবে ঘটনাটা সত্য। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ছাপ্পা ভোট দিচ্ছিল। গ্রামের মানুষ রুখে দাঁড়ায়। ভোটাররা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এরপর উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।‘ উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।