বালুরঘাটঃ সহকর্মীর কাছে টাকা ধার নিয়েছিলেন। ধার শোধ না করে পালিয়ে গিয়েছিলেন এক শিক্ষক। কয়েক মাস পর তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে বালুরঘাট থানার পুলিশ। চাকরি ছেড়ে গা ঢাকা দিয়ে থাকা ওই শিক্ষকের মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেট করে এনজিপি স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে পুলিশ। সুমন চট্টোপাধ্যায় নামে ওই প্রাথমিক শিক্ষককে শুক্রবার বালুরঘাট আদালতে পেশ করেছে পুলিশ। সহকর্মী অভিজিৎ চন্দর করা আত্মসাৎ ও প্রতারণার মামলায় এদিন বালুরঘাট আদালতের মুখ্য বিচার বিভাগীয় বিচারক গৈরিক রায় ধৃত শিক্ষককে ১৪ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সরকার পক্ষের আইনজীবী জয়ন্ত মজুমদার।
চাকরিরত অবস্থায় প্রয়াত হয়েছিলেন বাবা। পরবর্তীতে বাবার সেই চাকরিই পেয়েছিলেন কুমারগঞ্জ ব্লকের বাসিন্দা সুমন চট্টোপাধ্যায়। তিনি বালুরঘাট হাইস্কুলের প্রাথমিক বিভাগে কর্মরত। শহরেই ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তাঁর বিরুদ্ধে প্রচুর মানুষের কাছ থেকে টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে। এনিয়ে এতদিন সমস্যা না হলেও সম্প্রতি এক সহকর্মী শিক্ষকের কাছ থেকে টাকা হাতানো তাঁকে বিপদে ফেলে দিয়েছে।
অভিজিৎ চন্দর অভিযোগ, ‘গত বছর অক্টোবর মাসে মায়ের বাইপাস সার্জারির নাম করে আমার কাছ থেকে ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন সুমন। তিন মাসের মধ্যে ওই টাকা পরিশোধ করার কথা ছিল। সেই টাকা থেকে তিনি মাত্র ১৪ হাজার ৪০০ টাকা পরিশোধ করেন। এরপর থেকে স্কুলে আসাই বন্ধ করে দেন তিনি। তাঁর আর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তাই বালুরঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করি। পুলিশের তরফে বারবার নোটিশ করা হলেও সুমনের আর কোনও হদিস পাওয়া যায়নি। স্কুল শিক্ষা দপ্তরও তাঁর নাগাল পায়নি। অবশেষে বৃহস্পতিবার রাতে পলাতক শিক্ষকের হদিশ পায় পুলিশ। বালুরঘাট থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে শিলিগুড়ি থেকে।’
এদিন ধৃতকে বালুরঘাট আদালতে পেশ করা হলে ১৪ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা বলেন, ‘প্রতারণা মামলায় একজনকে শিলিগুড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’