সুবীর মহন্ত, বালুরঘাট: বিয়ে হয়েছে ১৪ বছর আগে। বাড়িতে স্বামী ছাড়াও দুই কিশোরী কন্যা রয়েছে। কিন্তু সব ছেড়ে আলমারি ভেঙে স্বামীর সর্বস্ব নিয়ে চম্পট দিয়েছেন বালুরঘাটের (Balurghat) এক গৃহবধূ। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আলাপ হওয়া এক যুবকের সঙ্গেই ওই গৃহবধূ ঘরছাড়া হয়েছেন বলে দাবি আত্মীয়পরিজনদের।
ব্যাংক থেকে স্বামীর নামে লোন তুলে, অল্পবয়সি প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছেন ওই বধূ। শুধু তাই নয়, স্বামীর ব্যবসার টাকা ও সোনার গয়নাও নিয়ে গিয়েছেন তিনি। বালুরঘাট ব্লকের একটি গ্রামের ওই গৃহবধূর এমন কাণ্ডে হতবাক আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা। দুই মেয়েকে ফেলে স্ত্রী পালালেও তাতে যতটা না মাথাব্যথা, তার চেয়েও বেশি আর্থিক সমস্যায় পড়েছেন ওই গৃহবধূর স্বামী। কারণ, একেই মাথায় ঋণের বোঝা, তার উপরে নতুন গৃহনির্মাণের কাজ চলছে। সেই টাকাও হাপিস। এমন পরিস্থিতিতে কীভাবে কী হবে, সেই চিন্তা থেকেই স্ত্রীর খোঁজে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই ব্যক্তি। বালুরঘাট থানার পুলিশও ওই গৃহবধূর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।
বালুরঘাটের ওই গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত কৃষকের সঙ্গে পলাতক গৃহবধূর প্রায় ১৪ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল। বর্তমানে তাঁদের ১৩ বছর বয়সি ও সাত বছর বয়সি দুটি কন্যাসন্তান রয়েছে। জমির উৎপন্ন ফসল হাটে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করার পেশা ওই ব্যবসায়ীর। কিছুদিন ধরে ওই গৃহবধূ সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি পরিবারের কেউ জানত না। সম্প্রতি ব্যবসার প্রায় এক লক্ষ টাকা স্ত্রীর কাছে রাখতে দিয়েছিলেন ওই কৃষক। এর পাশাপশি সম্প্রতি এক আর্থিক লেনদেনকারী সংস্থার কাছ থেকে বাড়ি বানানোর জন্য ৭০ হাজার টাকা লোন তুলেছিলেন ওই দম্পতি। ওই সমস্ত টাকা এবং প্রায় পাঁচ ভরি সোনা নিয়ে গৃহবধূ প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়েছে বলে দাবি পরিবারের।
ব্যবসায়ীর দাবি, ‘এত বছরের বৈবাহিক সম্পর্ক। মেয়েরাও বড় হয়ে উঠেছে। স্ত্রী যে এমন কাণ্ড করতে পারে ভাবিইনি। ও সংসার করতে না চাইলে জোর করব না। কিন্তু আমার টাকাগুলি তো ফেরত দিক। পুলিশকে ওদের খুঁজে দেবার আবেদন জানিয়েছি।’ বালুরঘাট থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ পেয়েছি। সবদিক খতিয়ে দেখতে তল্লাশি শুরু হয়েছে।