বালুরঘাট: ছাত্রী নিখোঁজের নাটকের যবনিকা পতন হল। তাঁর খোঁজ মিলল সুদূর কলকাতায়। গত বৃহস্পতিবার মোবাইল থেকে পরিবারকে একটি মেসেজ পাঠিয়ে গায়েব হয়ে গিয়েছিলেন বালুরঘাট কলেজের তৃতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী। মোবাইল সহ তাঁর ব্যাগটি বালুরঘাট শহরের আত্রেয়ীপাড়ের এক মন্দিরের সামনে পাওয়া গিয়েছিল। মেসেজে তরুণী লিখেছিলেন, ‘জীবন বিসর্জন দিয়ে দেব। বালুরঘাটের হনুমান মন্দির থেকে ব্যাগ ও মোবাইল নিয়ে নিও।’ এমন মেসেজ নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল বালুরঘাট।
সকলের ধারণা হয়েছিল, ওই তরুণী বালুরঘাট আত্রেয়ী নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। কিন্তু কলকাতায় তাঁর খোঁজ মেলার পর থেকে ক্ষোভে ফুঁসতে শুরু করেছে পরিবার। বিরক্ত বালুরঘাট থানার পুলিশও। তারা ওই কিশোরীকে উদ্ধারের জন্য পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে প্রক্রিয়া শুরু করেছে। পুলিশের অনুমান, প্রেমঘটিত কারণে নিজেই আত্মগোপন করেছেন। এদিকে, ওই কলেজ ছাত্রী কীভাবে, কার সঙ্গে কলকাতায় গেল, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রীর বয়স ২০ বছর। বাড়ি তপনে। মামার বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করতেন। বৃহস্পতিবার সকালে ওই ছাত্রী কলেজে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে বালুরঘাট এসেছিলেন। তার আগে মোবাইল নিয়ে দিদিমার সঙ্গে কিছু ঝামেলাও হয়েছিল। দিদিমার কাছে অ্যান্ড্রয়েড ফোন রেখে সাধারণ ফোন নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। ওই ফোন থেকেই বাড়িতে মেসেজ পাঠান তরুণী।
এরপর কলেজের ব্যাগটি বালুরঘাটের আত্রেয়ীপাড়ে হনুমান মন্দিরের সামনে রেখে নিখোঁজ হয়ে যান। মোবাইলে মেসেজ পেয়ে পরিবারের লোকেরা বালুরঘাটে এসে সম্ভাব্য সমস্ত স্থানে খুঁজেও ওই তরুণীকে না পেয়ে শেষ পর্যন্ত বালুরঘাট থানার দ্বারস্থ হন। ছাত্রীর খোঁজে আত্রেয়ী নদীতে তল্লাশি চালায় সিভিল ডিফেন্স ও পুলিশের ডুবুরি টিম।
তরুণীর মামা বলেন, ‘ওর বিয়ে ঠিক করা হয়েছিল। অন্যত্র প্রেমের কোনও বিষয় রয়েছে কি না তা এখনও জানি না। তবে ভাগ্নি যে কলকাতায় রয়েছে, তা জানতে পেরেই ওর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে ওর মা। মায়ের সঙ্গেই ওর কিছু বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়েছে। ওর পিসি ওকে কলকাতা থেকে আনতে গিয়েছে।’