প্রসেনজিৎ দাশগুপ্ত, নয়াদিল্লি: মঙ্গলবার সকালে যখন দেশের ৭৭তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে ঐতিহাসিক লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে মেতে উঠবে দেশবাসী, ঠিক তখনই নয়াদিল্লির চাণক্যপুরী অঞ্চলে স্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনে পালিত হবে জাতীয় শোক দিবস।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার চার বছরের মাথায় ১৫ অগাস্ট ১৯৭৫ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকার ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে নিজের বাসভবনে সেনাবাহিনীর কতিপয় বিক্ষুদ্ধ সেনা সদস্যের হাতে সপরিবারে নিহত হন। সেদিন তিনি ছাড়াও নিহত হন তাঁর স্ত্রী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা। এছাড়াও ওই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডে মুজিব পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজন সহ নিহত হন আরও ১৬ জন। দেশের বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান মুজিব-কন্যা শেখ হাসিনা এবং তাঁর ছোটবোন শেখ রেহানা। এরপর প্রতি বছর ১৫ অগাস্টের দিনে বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবারের নিহত সকল সদস্যদের গভীর শোক ও শ্রদ্ধায় স্মরণ করে পালিত হয় জাতীয় শোক দিবস।
আগামীকাল ঢাকার পাশাপাশি রাজধানী নয়াদিল্লিতে স্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনেও পালিত হবে জাতীয় শোক দিবস। এই উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার অর্ধনমিত থাকবে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা। নীরবতা পালনের মাধ্যমে জানানো হবে শ্রদ্ধার্ঘ্য। দিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশনে শেখ মুজিব এবং তাঁর পরিবারের উদ্দেশে রাখা হয়েছে বিশেষ স্মরণসভা। পরে সন্ধেবেলায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মুহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু: আ চ্যাম্পিয়ন অফ হিউমান রাইটস অ্যান্ড ফ্রিডম’ শীর্ষক বিশেষ আলোচনা সভা, যেখানে ভারত-বাংলাদেশ দু-দেশের বিশিষ্ট বিদ্দ্বজনেরা অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন দিল্লি স্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস মন্ত্রী শাবান মাহমুদ।