নয়াদিল্লি: শনিবার নয়াদিল্লিতে জি-২০’র মঞ্চে দু দুটি ভাষণ দেন শেখ হাসিনা। ‘এক বিশ্ব’ এবং ‘এক পরিবার’ শীর্ষক অধিবেশন চলাকালীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তন, কোভিড-১৯ মহামারির পরে দেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, ইউরোপে যুদ্ধের ফলে জ্বালানি, খাদ্য ও সারের মতো প্রয়োজনীয় পণ্যগুলি বৈশ্বিক সরবরাহের মারাত্মক ব্যাঘাতের মতো চ্যালেঞ্জগুলি কীভাবে মোকাবেলা করেছেন তা তুলে ধরেন। এছাড়া, বর্তমান আওয়ামি লিগ সরকারের জমানায় বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্যের অভিজ্ঞতা অংশগ্রহণকারী বিশ্ব নেতাদের সামনে তুলে ধরেছেন হাসিনা। শনিবার তাঁর ভাষণে নরেন্দ্র মোদির ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’ নীতির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করার সঙ্গে সঙ্গেই হাসিনা বলেন, ‘জি-২০ এবং বিশ্বমানের আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এবং বাংলাদেশ সংকট মোকাবিলায় কার্যকর সুপারিশ তৈরি করতে তাদের প্রচেষ্টাকে সহযোগিতা করতে সর্বদা প্রস্তুত।
হাসিনা এও বলেন, ‘বৃহত্তর মানবিক স্বার্থে এবং সারা বিশ্বে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য বিশ্বব্যাপী সাহসী এবং সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে। বৈশ্বিক উন্নয়নের জন্য বিশ্বের প্রথমসারির অর্থনীতির দেশগুলিকে তাদের যথাযথ দায়িত্ব পালন করা উচিত।‘ ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম ‘ত্রয়ীকা’র সদস্য হিসেবে শেখ হাসিনা জানান, জলবায়ুজনিত অভিবাসন মোকাবিলায় অতিরিক্ত অর্থায়নের ব্যবস্থা করার জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ক্ষতি এবং ক্ষয়ক্ষতি তহবিল চালু করার জন্য আমি সবাইকে অনুরোধ জানাচ্ছি। রহিঙ্গা ইস্যুতে জোর দিয়ে হাসিনা বলেন, ‘সব মানুষেরই উপযুক্ত জীবনযাপনের সমান অধিকার থাকা উচিত। মায়ানমার থেকে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে বৈশ্বিক সম্প্রদায় ভুলবে না এবং তাদের মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখতে হবে।‘ এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে বারবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন তিনি জানান, দুর্যোগ মোকাবিলায় ৪৫০০ এর বেশি আশ্রয় কেন্দ্র গড়েছে বাংলাদেশ। ‘মুজিব কিল্লা’ নামে আরও ৫৫০টি আশ্রয় কেন্দ্র গড়া হচ্ছে। এর সঙ্গেই ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান’ চালু করেছে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সম্ভাব্য সমস্ত রকম উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পিছপা হয়নি, হবে না বাংলাদেশ সরকার।