উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: পেঁয়াজের ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এদিকে শুল্ক চাপানোয় ভোটের আগে বিপাকে পড়েছে বাংলাদেশের শেখ হাসিনা সরকার! কারণ এই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম লাফিয়ে বাড়বে। তাই বিকল্প হিসাবে মিশর, তুরস্ক ও চিন থেকে পেঁয়াজ আমদানির কথা ভাবা হচ্ছে। এমনিতেই বাংলাদেশে খাদ্যপণ্যের দাম মাত্রা ছাড়িয়েছে। এই নিয়ে সরকারকে বিঁধছে বিরোধীরা। এই অবস্থায় এবার পেঁয়াজেরও দাম বাড়লে এর প্রভাব ভোট ব্যাংকে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের খাদ্যাভ্যাসে পেঁয়াজ অপরিহার্য হলেও চাহিদার পুরোটা সে দেশে চাষ হয় না। পেঁয়াজের ৯৫ শতাংশই আমদানি করা হয় ভারত থেকে। কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা ভোটের মুখে দেশীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রাখতে রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ সহ কিছু পদক্ষেপ করেছে ভারত সরকার। অর্থমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। মূল্যবৃদ্ধি রোধ করতে এবং অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়াতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা জানানো হয়েছে, আগামী ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ পর্যন্ত পেঁয়াজের ওপর ৪০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপিত থাকবে৷
এদিকে ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে ভোট বাংলাদেশে। গত বছর একই কারণে রাতারাতি পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় বিপাকে পড়তে হয়েছিল বাংলাদেশকে। সে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম ২৫০ টাকায় চলে যায়। যদিও বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের দাবি, এবার বাংলাদেশে পেঁয়াজের ভালো চাষ হয়েছে। মজুতের পরিমাণও ভালো। পরিস্থিতি আগেরবারের মতো হবে না বলে আশাবাদী তিনি।