সামসী: গত জুন মাসের ২৭ তারিখ চাঁচল-২ ব্লকের ক্ষেমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাশিমপুর মোমিনপাড়া এলাকায় ডাকাত দলকে ধরতে গিয়ে তাদের ছোড়া বোমার আঘাতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারিয়েছিলেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার। তাঁর নাম মমিনুল হক (৩৩)। ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের মৃত্যুর প্রায় ছয় মাস পর তাঁর বাবা হাসান আলি, মা তহমিনা বিবিকে বার্ধক্য ভাতা কাগজ তুলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাঁর স্ত্রী মেহনাজ খাতুনকেও বিধবা ভাতা পাইয়ে দেন চাঁচল ২-এর বিডিও শান্তনু চক্রবর্তী। এদিকে প্রতিশ্রুতি মোতাবেক মৃত সিভিক ভলান্টিয়ার মমিনুল হকের স্ত্রীকে সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি দেওয়া হচ্ছে। আগামী কাল অর্থাৎ শনিবারই তাঁর চাকরিতে যোগ দেওয়ার কথা বলে জানিয়েছেন চাঁচল থানার আইসি পূর্ণেন্দু কুমার কুন্ডু।
প্রসঙ্গত, ২৭ জুন মঙ্গলবার ভর সন্ধ্যায় আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটে মালতীপুরের একটি সোনার দোকানে। ওই ঘটনার জেরে ঘটনাস্থল থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে কাশিমপুর মোমিনপাড়া এলাকায় ডাকাত দলকে ধরতে গিয়ে বোমার আঘাতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান সিভিক ভলান্টিয়ার মমিনুল হক।
মৃতের স্ত্রী মেহনাজ খাতুন জানান, স্বামী মারা যাওয়ার আগে ৮০ হাজার টাকা কৃষি ঋণ নিয়েছিলেন। স্বামীর অবর্তমানে সেই ঋণ তিনি পরিশোধ করতে পারছেন না। তাই স্বামীর বকেয়া ঋণ যদি প্রশাসনের তরফে পরিশোধ করে দেওয়া হয় তাহলে খুব ভালো হয়।
বিডিও শান্তনু চক্রবর্তী ঋণ পরিশোধ করার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।