উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: এবার থেকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পাহারার দায়িত্বে থাকবে মৌমাছিও! হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ইতিমধ্যেই মৌমাছি চাষ শুরু করে দিয়েছেন বিএসএফ জওয়ানরা। মৌমাছিকে পাহারাদার হিসেবে ব্যবহার করবেন তাঁরা। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতের ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার সীমান্তজুড়ে মৌমাছির চাক বসাচ্ছে বিএসএফ। এতে যেমন সীমান্ত সুরক্ষার কাজ হবে, তেমনি স্থানীয়দের বাসিন্দাদের জীবিকার সংস্থান হবে।
কাঁটাতার পেরিয়ে এরাজ্যে বাংলাদেশিদের প্রবেশের ঘটনা নতুন নয়। তবে বেআইনি এই প্রবেশ রুখতে সদা তৎপর বিএসএফ। সেই অনুপ্রবেশ রুখতে আরও তৎপর হল তারা। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে পরীক্ষামূলকভাবে মৌমাছিদের বাহিনী গড়ে তোলা হবে। ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটারের সীমানা রয়েছে। যার মধ্যে এরাজ্যে রয়েছে ২ হাজার ২১৭ কিলোমিটার। নদিয়ার গেদে, চাপড়া, বানপুর, কাদিপুর সহ একাধিক জায়গা সীমান্তবর্তী অঞ্চল। সেই সব এলাকাতেই এবার এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। এবার অনুপ্রবেশের জন্য যেই কেউ তাদের বিরক্ত করবে তখনই মৌমাছি তাদের আক্রমণ করবে। কার্যত বলাই যায়, মৌমাছি মানুষ চিনবে না। বা অপরাধ চিনবে না। শুধু চাকে ঢিল পড়লেই শত্রুকে আক্রমণ করবে মৌমাছি।
কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ভাইব্রেন্ট ভিলেজ’ কর্মসূচির আওতায় এই মৌমাছি পালন করা হবে। জানা যাচ্ছে, প্রাথমিকভাবে এটিকে পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে বেছে নিয়েছে সরকার। এই প্রকল্পের মাধ্যমে আদৌ সীমান্তের অনুপ্রবেশ রোখা যায় কি না, তা পরীক্ষা করা হবে। জানা গিয়েছে, কৃষ্ণগঞ্জ থানার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় মৌমাছির ২০টি বাক্স বসানো হয়েছে। স্থানীয় গ্রামবাসীরা সেই মৌমাছির দেখভালের পাশাপাশি মধু সংগ্রহ করবেন। এতে তাঁরা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন। এই মুহূর্তে আপাতত ২০০টি বাক্স বসানোর লক্ষ্য রয়েছে। সীমান্তের যে কাঁটাতারের বেড়া রয়েছে তার কাছে মৌমাছি বান্ধব ফুল-গাছ থাকবে। সেখানেই মৌমাছির বাক্স বসানো হবে। বাক্সের উপর ছায়া দিয়ে প্রাকৃতিক আবাস্থল তৈরি করা হবে।