নাগরাকাটা: বড়দিনের রাতে রঙিন হয়ে উঠল ডুয়ার্সের সমস্ত চার্চ। এরমধ্যে এবছরই শতবর্ষে পা দিল চা বলয়ের সবচেয়ে প্রাচীন চম্পাগুড়ির সেক্রেট হার্ট চার্চ। তা নিয়ে ডুয়ার্সবাসীর মধ্যে উদ্দীপনাই ছিল আলাদা। সেখানকার ফাদার সমীর তির্কি বলেন, ‘যীশু শুধু খ্রীষ্ট্র ধর্মাবলম্বীদের নয়। গোটা মানবজাতির। এদিন ইশ্বরের দেখানো পথেই বিশ্বশান্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।‘
রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকেই প্রতিটি চার্চে বিশেষ প্রার্থনার জন্য কেন্দ্রীয় জমায়েত শুরু হয়। বহু স্থানে ধামসা মাদলের তালে যীশুর জন্মের পর্বকে বরণ করে নেওয়া হয়। খ্রীষ্ট ধর্মাবলম্বীরা জানাচ্ছেন, ৯ দিন আগে থেকেই বড়দিনের প্রার্থনা শুরু হয়। যা ‘নবেনা’ নামে পরিচিত।
চম্পাগুড়ির সেক্রেট হার্ট চার্চে এদিন সারাদিনই চূড়ান্ত ব্যস্ততা ছিল। চলতি বছরেই শতবর্ষে পা দিয়েছে ওই চার্চটি। শতবর্ষের অনুষ্ঠানটি শুরু হয়েছিল গত ৮ জানুয়ারি থেকে। শেষ হয় ২০ অক্টোবরের বর্ণাঢ্য কর্মসূচির মাধ্যমে। চম্পাগুড়ির চার্চে ফি বছর বড়দিনের প্রার্থনায় কয়েক হাজার মানুষের জমায়েত হয়। ২৪ ডিসেম্বর রাতের প্রার্থনার পাশাপাশি ২৫ ডিসেম্বর সকালেও সেখানে প্রার্থনার আসর বসবে। সেদিন কার্যত মিলন মেলায় পরিণত হয় গোটা চার্চ চত্বর। বিভিন্ন ভাষা ও ধর্মের মানুষও সেখানে হাজির হন বড়দিন উদযাপনে।
চম্পাগুড়ি চার্চের সম্পাদক ও নাগরাকাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সঞ্জয় কুজুর বলেন, ‘ডুয়ার্সে বড়দিন মানেই সম্প্রীতির উৎসব। এবারও এর কোনও অন্যথা হচ্ছে না।‘