ফালাকাটাঃ এ যেন কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেউটে বের হবার মতো ঘটনা। একটি চুরি যাওয়া বাইকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছিল ফালাকাটা থানার পুলিশ। সেই চুরির তদন্তে নেমে সন্ধান পায় একটি চক্রের। সেও চক্রের বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করতেই হদিশ মেলে একাধিক চুরি যাওয়া বাইকের। রবিবার পর্যন্ত মোট ১৫ টি চুরি যাওয়া বাইক উদ্ধার হয়েছে। এই চক্রের বাকিদের গ্রেপ্তার করতে তৎপরতা চালাচ্ছে বাড়িয়েছে পুলিশ। গোটা বিষয়টি নিয়ে এদিন ফালাকাটা থানায় সাংবাদিক বৈঠক করেন আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী।
আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী জানিয়েছেন, গত কয়েকমাস ধরেই জেলায় বেশ কয়েকটি বাইক চুরির ঘটনা ঘটে। সেই সব অভিযোগ পাওয়ার পরই তদন্ত শুরু করি আমরা। তদন্ত শুরু হতেই ধরা পড়ে বাইক চুরি চক্রের বেশ কয়েকজন। তাদের হেপাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই উদ্ধার হতে শুরু করে একের পর এক বাইক। গত দেড় মাসে মোট ১৫ টি বাইক উদ্ধার করা হয়েছে। সঙ্গে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের জেরা করে গোটা চক্রকেই ধরা হবে।
জানাগেছে, ধৃতরা হলেন মনোজ বর্মন(১৯), কৌশল বর্মন(৫১)। এদের দু’জনের বাড়িই ফালাকাটার ছোট শালকুমার এলাকায়। তাদের আদালতে তুলে ১২ দিনের পুলিশি হেপাজত নেওয়া হয়। এমনকি তাদের সমানে জেরা চলে। এর পরেই একের পর এক চোরাই বাইক উদ্ধার হতে থাকে। অভিযুক্তদের জেরা করেই সাইলা মঙ্গর(৪২) নামে চক্রের আরেক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা বাড়ি মাদারিহাটের হল্লাপাড়ায়। ধৃতদের মধ্যে কৌশল ও সাইলা দীর্ঘদিন ধরেই বাইক চুরিতে সিদ্ধহস্ত। এই পেশায় নতুন এসেছে মনোজ বর্মন।
এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, এদের কাজই হচ্ছে স্থানীয় এলাকা থেকে মোটর বাইক চুরি করা। চুরি করা বাইকগুলো তারা গোপন ডেরায় লুকিয়ে রাখত। পরে সুযোগ বুঝে সেগুলো অন্যত্র পাচার করে দিত। এমন কী বাংলাদেশেও চুরির বাইক পাচার হয়ে যেত চোরাপথে।