উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ ভারত-অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি সিরিজের চতুর্থ ম্যাচ শুক্রবার রায়পুরে। অথচ রায়পুরের সেই শহীদ বীর নারায়ণ সিংহ স্টেডিয়ামের বিদ্যুতের বিল বকেয়া ৩ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা। ১৪ বছর ধরে এই স্টেডিয়ামের বিদ্যুতের বিল জমা করেনি ছত্তিসগড় ক্রিকেট সংস্থা। সেই কারণে পাঁচ বছর আগে বিদ্যুতের লাইন কেটে দেওয়া হয়। শুক্রবারের ম্যাচের জন্য ছত্তিসগড় ক্রিকেট সংস্থার অনুরোধে সাময়িক বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে তাতে আলো জ্বলবে শুধু গ্যালারি এবং বক্সে। মাঠের ফ্লাডলাইট জ্বালানো হবে জেনারেটর দিয়ে। এই পরিস্থতিতে বিপাকে পড়েছে বিসিসিআই। ক্রিকেটের এই নিয়ামক সংস্থার এক কর্তার বক্তব্য, আগে জানা থাকলে রায়পুরে এই ম্যাচ দেওয়াই হত না।
রায়পুরের মাঠের পরিস্থিতি লজ্জায় ফেলতে পারে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে। ১৪ বছর ধরে রায়পুরের সেই শহীদ বীর নারায়ণ সিংহ স্টেডিয়ামের বিদ্যুতের বিল বকেয়া ৩ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা। বিদ্যুতের বিল জমা করেনি ছত্তিসগড় ক্রিকেট সংস্থা। সেই কারণে পাঁচ বছর ধরে বিদ্যুতের লাইন কেটে দেওয়া হয়। এই মাঠেই শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে ভারত অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে টি-টয়েন্টি সিরিজের চতুর্থ ম্যাচ। এই স্টেডিয়ামের রক্ষনাবেক্ষণের দায়িত্ব পিডব্লিউডির। এই পরিস্থিতিতে কি রায়পুরের এই স্টেডিয়ামে রাতে ফ্লাড লাইটে খেলা হওয়া সম্ভব?
ছত্তিসগড় ক্রিকেট সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিনের ম্যাচের জন্য অনুরোধে সাময়িক বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চাওয়া হয়েছিল ১০০০ কিলো ওয়াট, সেখানে দেওয়া হয়েছে ২০০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ। তবে আপাতত যেটুকু বিদ্যুৎ পাওয়া গিয়েছে তাতে আলো জ্বলবে শুধু গ্যালারি এবং বক্সে। মাঠের ফ্লাডলাইট জ্বালানো হবে জেনারেটর দিয়ে। এতে রাতে খেলা হতে অসুবিধে নেই।
ছত্তিসগড় ক্রিকেট সংস্থার মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক তারুনেশ সিংহ পরিহার বলেন, “আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করার সময় চিন্তা তো থাকেই। কোনও সমস্যা যে হবে না, তা জোর দিয়ে বলতে পারছি না। তবে আমাদের জেনারেটর রয়েছে। স্টেডিয়ামের কত টাকার বিদ্যুতের বিল বাকি রয়েছে সেটা আমি জানি না, তবে সাময়িক বিদ্যুতের ব্যবস্থা ছত্তিসগড় ক্রিকেট সংস্থা করেছে।