বীরপাড়া: একজন এএনএম ও চারজন আশাকর্মীর মধ্যে বোঝাপড়ার অভাব চরমে। এর জেরে দেড় মাস ধরে আলিপুরদুয়ার জেলার বীরপাড়ার দক্ষিণ সুভাষপল্লি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাচ্ছেন না ওই চারজন। অবশ্য তাঁরা ‘ফিল্ডে’ নিয়মিত কাজ করছেন। ২১ সেপ্টেম্বর ওই চারজন আশাকর্মী ও ফার্স্ট এএনএম সঞ্চিতা মিত্রের মধ্যে বিবাদ চরমে ওঠে। সেদিন থেকে আর ওই উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে পা রাখেননি চার আশাকর্মী।
আশাকর্মী কাকলি দে দাস, রত্না দাস দত্ত, সুনীতা মাহাতো এবং অর্চনা সাহুর অভিযোগ, উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের ফার্স্ট এএনএম সঞ্চিতা মিত্র তাঁদের নিয়মিত মানসিক নির্যাতন করছিলেন। একজনকে শারীরিক নিগ্রহও করেছেন। এদিকে, এএনএম সঞ্চিতাদেবীর অভিযোগ, আশাকর্মীরা দেড় মাস ধরে কাজ করছেন না। বরং তাঁকেই মানসিকভাবে নির্যাতন করে যাচ্ছেন। আবার তাঁরই বিরুদ্ধে মিথ্যে অপবাদ দিচ্ছেন।
এদিকে, পরিষেবা নিতে আসা এক মহিলার সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগে ১ নভেম্বর শোকজ করা হয় এএনএমকে। ৩ নভেম্বর শোকজের জবাব দিয়ে তিনি ছুটি নিয়েছেন। ফলে তালাবন্ধ বীরপাড়ার দক্ষিণ সুভাষপল্লি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রটি। বিপাকে কমবেশি ৭০০০ মানুষ। আশাকর্মীদের মাধ্যমে কিছু পরিষেবা পেলেও ৩ নভেম্বর থেকে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কোনও পরিষেবা পাচ্ছেন না তাঁরা। বন্ধ রয়েছে সুগার, প্রেসার টেস্টের মতো ন্যূনতম স্বাস্থ্য পরিষেবাও।
স্বাস্থ্যকর্মীদের বিবাদ প্রসঙ্গে বিশদে বলতে চাননি মাদারিহাটের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবজ্যোতি চক্রবর্তী। তবে বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের গোচরে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।