উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ মনোনয়ন পর্বের তৃতীয় দিনেও বাংলার মাটিতে ঝরল রক্ত। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার সোনামুখীতে। মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে বিজেপির ওপর হামলা হয় বলে অভিযোগ। হেনস্থা করা হয় বিজেপি বিধায়ককেও। এই ঘটনায় নাম জড়ায় তৃণমূলের। যদিও এই হামলা প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করেনি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। ঘটনাস্থলে ব্যাপক উত্তেজনা রয়েছে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। তার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে গিয়েছে জেলায়-জেলায় অশান্তি খবর। আজ বাঁকুড়ার সোনামুখীতে দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে সোনামুখী বিডিও অফিসে যান বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামি। সূত্রের খবর, বিডিও অফিসে ঢোকার ঠিক আগেই দিবাকর ঘরামি-সহ বিজেপির প্রার্থীদের উপর তৃণমূল চড়াও হয়। অভিযোগ, বিজেপি প্রার্থীদের পাশাপাশি হেনস্থার শিকার হন বিজেপি বিধায়কও। এই হামলার ঘটনায় স্থানীয় এক বিজেপি নেতার মাথা ফেটে যায়। গলগল করে রীতিমতো রক্ত ঝরতে শুরু করে তাঁর। শেষে মাথায় কাপড় বেঁধে স্থানীয় একটি হাসপাতালে যান তিনি। আরও কয়েকজন বিজেপি নেতা কর্মীর আহত হওয়ার খবর মিলেছে।
এই হামলা প্রসঙ্গে দিবাকর ঘরামি বলেন, “প্রথম দু’দিন মোটামুটি ঠিকঠাক ভাবে জমা মনোনয়ন জমা দিতে পারলেও আজকে তৃণমূল কংগ্রেসের লোকজন বড় মিছিল করে আসে। আমরা প্রতিরোধ করেছি। তারপর যখন পারেনি তখন স্থানীয় তৃণমূল নেতার নেতৃত্বে আমাদের কর্মীদের মারধর করা হয়। এমনকী আমাদেরও হেনস্থা করা হয়।”
এই ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বিরোধীরা। তাঁদের বক্তব্য, তৃণমূলের হাইকম্যান্ড নির্বিঘ্নে বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার বার্তা দিলেও আদপে তার উলটো চিত্রটাই ধরা পড়ছে রাজ্যের একাধিক জেলায়। মনোনয়ন জমার দিনই যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে ভোটের দিন কী হবে? মনোনয়ন জমার প্রথম দু’দিন যখন অশান্তির খবর সামনে আসছিল, তখন বিরোধীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তৃতীয় এবং বাকিদিন গুলিতেও একই ছবি সামনে আসবে। তৃতীয় দিনেও রাজনৈতিক হামলায় রক্ত ঝরল এক একাধিক বিজেপি কর্মীর।