কোচবিহার: তৃণমূলের বিক্ষোভ আন্দোলনের জেরে কোচবিহারে ভেস্তে গেল বিজেপির রথযাত্রা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার কোচবিহার শহরে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প ও কাজকর্ম সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরার লক্ষ্যে বিজেপির পক্ষ থেকে একটি রথযাত্রা বের করার কথা ছিল। সেই কারণে বিজেপি বেশকিছু বাসও কোচবিহারে নিয়ে এসেছিল। ঘটনার কথা জানতে পেরে এদিন বিজেপির দলীয় জেলা কার্যালয়ের কাছাকাছি রাস্তার উপর বসে বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু করে কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর ছবিতে কালি লেপে দেওয়া হয়। দলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক তথা হিপ্পির নেতৃত্বে এই আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে।
আন্দোলন প্রসঙ্গে হিপ্পি বলেন, ‘গতকাল গভীররাতে বিজেপি বেশকিছু বাস নিয়ে এসেছে রথযাত্রা বের করার জন্য। যেখানে ১০০ দিনের কাজ করে ২১ লক্ষ মানুষ পয়সা পাচ্ছে না। এছাড়াও বিভিন্ন খাতে কেন্দ্র সাধারণ মানুষের পয়সা আটকে রেখেছে। তারা আবার কিসের রথযাত্রা বের করবে? এটা রথযাত্রা নয়, এটা শবযাত্রা। তাই এই শবযাত্রা কোনভাবেই হতে দেব না।‘ এই কারণেই এদিন তাঁরা বিজেপির জেলা কার্যালয়ের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন। এরপর হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘বিজেপির মন্ত্রী নিশীথ প্রামানিক ও তাঁদের জেলার ছয় বিধায়কের যদি ক্ষমতা থাকে তাহলে এখান থেকে রথযাত্রা বের করে দেখাক।‘
বিষয়টি নিয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায় জানান, তাঁদের এদিন শহরে রথযাত্রা বের করার কথা ছিল। তাঁরা ভেবেছিলেন শহরে যেহেতু যাত্রা বের করবেন সেই জন্য কোনও অনুমতির প্রয়োজন হবে না। কিন্তু এখন শুনতে পাচ্ছেন স্থানীয় থানার অনুমতি লাগবে। সেই কারণে আপাতত তাঁরা অনুমতির বিষয়টি দেখছেন। আর তৃণমূলের আন্দোলন প্রসঙ্গে বলেন, ‘তৃণমূল জানে যে রথযাত্রা বের করলে তাদের সমস্ত দুর্নীতির কথা সাধারণ মানুষ জানতে পারবে। কেন্দ্র টাকা দেওয়ার পরেও সাধারণ মানুষকে না দিয়ে তারা সেই অর্থ নিজেরা কীভাবে হজম করেছে সেসব কথা সাধারণ মানুষ বুঝতে পারবেন। সেই ভয়েই তারা এসব করছে। এরপর বিজেপি যেদিন রথযাত্রা বের করবে, সেদিন ক্ষমতা থাকলে তৃণমূল তা আটকে দেখাক।‘