শিলিগুড়ি: কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের মাঠে মুখ্যমন্ত্রীর সভার বিরুদ্ধে পথে নামলেন শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ। সোমবার এই বিরুদ্ধে হাসমিচকে অবস্থানে বসেন তিনি। তবে অনুমতি না থাকায় বিধায়ককে অবস্থান থেকে উঠে যেতে বলে পুলিশ। এরপরই দু’পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি বেধে যায়। যা ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় এলাকায়।
জানা গিয়েছে, কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের মাঠে ফুটবল লিগ চলছিল। তবে মুখ্যমন্ত্রীর সভার জন্য সেই লিগের খেলা বাতিল করে দেওয়া হয়। এরপরই সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর সভার জন্য মঞ্চ বাঁধার কাজ শুরু হয়। তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি বিধায়ক। তাঁর কথায়, ‘খেলার মাঠে শুধু খেলাই চলবে। কেন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তা ব্যবহার করা হবে? কেন খেলার মাঠে রাজনৈতিক সভা করার অনুমতি দিচ্ছে প্রশাসন?’ এনিয়ে ১২ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রীর সভার দিনই ধর্নায় বসার অনুমতি চান তিনি। যদিও সেই আবেদনই নিতে রাজি হয়নি পুলিশ। পরে তার আগের দিন বিকেল থেকে পরদিন সকাল অবধি ধর্নার সিদ্ধান্ত নেন শংকর ঘোষ। কিন্তু তাতেও আপত্তি ছিল পুলিশের। এরপরই শংকর ঘোষ সিদ্ধান্ত নেন তিনি যেভাবেই হোক ধর্না দেবেনই। সেই মতো এদিন হাতেগোনা কয়েকজনকে নিয়ে বিকেলে তিনি ধর্নাস্থলে উপস্থিত হলে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরে শংকর ঘোষ, মনোজ ওরাওঁ, পুনা ভেংরা, কৌশিক রায়, চিন্ময় দেব এবং সত্যেন্দ্র রায়কে জোর করে গাড়িতে তুলে ঘটনাস্থল ফাঁকা করে দেয় পুলিশ।