সামসী: তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্যা আনোয়ারা বিবির স্বামীর খুনিদের ধরতে ধীর গতিতে কাজ করছে পুলিশ। এমনটাই অভিযোগ তোলেন ওই তৃণমূল নেত্রী। বিষয়টি জানতে পেরে রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে স্বামীহারা ওই মহিলার পাশে দাঁড়ালেন উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। প্রয়োজনে সিবিআই তদন্তের দাবি করেন সাংসদ। শনিবার তিনি রতুয়া ২ ব্লকের চাতর গ্রামে ওই পঞ্চায়েত সদস্যার বাড়িতে গিয়ে হাজির হন। সেখানে গিয়ে দ্রুত দোষীদের পাকড়াও করার আশ্বাস দেন তিনি। খগেন মুর্মুর সঙ্গে ছিলেন বিজেপি সংখ্যালঘু মহিলা মোর্চার পক্ষে মীরা বিবি, বিজেপি মহিলা মোর্চার মিঠু দাস সহ অন্যান্যরা।
প্রসঙ্গত, রতুয়া ২ ব্লকের শ্রীপুর ২ পঞ্চায়েতের চাতর গ্রামের এক বাঁশ ঝাড় পাশ থেকে সাদেক আলির(৪৫) ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। সাদেক আলি ছিলেন শ্রীপুর ২ পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যা আনোয়ারা বিবির স্বামী। জানা গিয়েছে, সাদেক ১২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন। নিখোঁজের দিন রাত ১০টা নাগাদ ওই ব্যক্তির মোবাইল থেকে তার ছেলেকে কেউ বা কারা ফোন করে এক লখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল। কিন্তু তারপরে যোগাযোগ করা হলে মোবাইল সুইচ অফ করে দেয়। এরপর দিন অর্থাৎ ১৩ সেপ্টেম্বর সকালে আবার ফোন আসে। এবার দুই লক্ষ টাকা দাবি করেন। পরিবারের লোক কোনও খোঁজ না পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়। এরপরই একটি বাঁশ ঝাড়ের পাশে তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহ দেখতে পান গ্রামবাসীরা। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় পুকুরিয়া থানায়। পুখুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক গৌতম চৌধুরীর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে দেহ উদ্ধার করেন।
আনোয়ারা বিবি বলেন, ‘রাজনৈতিক কারণেই আমার স্বামী খুন হয়েছে। কিছুজনের উপর আমার সন্দেহ রয়েছে। এই মর্মে পুলিশকে জানানো হয়েছিল। ঘটনায় একজন গ্রেপ্তার হলেও বাকিরা অধরা।‘
খগেন মুর্মু জানান, পুলিশ খুনের তদন্ত ঠিক মতো করছেন না। তদন্তে গড়িমসি করছেন পুলিশ। এমনটা অভিযোগ পেয়ে বিষয়টি তদারকি করতে এসেছিলাম। পুখুরিয়া থানার পুলিশকে বলা হয়েছে, যাতে ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের খুব শীঘ্রই গ্রেপ্তার করা হয়। নাহলে সুবিচারের দাবিতে ঘটনার তদন্তে সিবিআইকে ডাকা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন সাংসদ খগেন মুর্মু।