শিলিগুড়ি: একেই বলে, কঠিন পরিশ্রমের ফল। একের পর এক সাফল্য সূর্য সেন মহাবিদ্যালয়ের অধ্যাপক ববিতা প্রসাদের ঝুলিতে। রাষ্ট্রপতি সম্মান পাওয়ার পর এবার ‘গভর্নর্স এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড’-এর জন্য তাঁর নাম মনোনীত হয়েছে। রাজ্যপালের মুখ থেকে এই খবর শুনে স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত তিনি। কীভাবে পডুয়াদের মধ্যে সংস্কৃতিচর্চা ও সামাজিক দায়বদ্ধতা আরও বাড়িয়ে তোলা যায় তা নিয়ে রাজ্যপাল ডঃ সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি।
গতবছরই এনএসএস-এ খুব ভালো কাজের জন্য রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়েছেন জলপাইগুড়ি জেলার কলেজগুলোর এনএসএস কোঅর্ডিনেটর ববিতা প্রসাদ। এই সাফল্যের জন্য রাজ্যপাল বুধবার তাঁকে কলকাতায় রাজভবনে আমন্ত্রণ জানান। এদিন রাজভবনে তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন চলতি বছর প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে যে ছাত্রছাত্রীরা প্যারেডে অংশগ্রহণ করেছিলেন তাঁরা। অনুষ্ঠানেই চলতি বছরের গভর্নর্স এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড-এ ববিতার নাম ঘোষণা করা হয়। যদিও তা কবে দেওয়া হবে সেই তারিখ এখনও জানানো হয়নি। তবে নাম শুনে খুশি হয়ে ববিতা বলেন, ‘আরও কাজ করার অনুপ্রেরণা পেলাম।’
সিকিম হোক বা পুরী যখন যেখানে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে অসহায় মানুষের কথা শোনা গিয়েছে সেখানে হাজির থাকতে দেখা গিয়েছে সূর্য সেন মহাবিদ্যালয়ের এনএসএস ইউনিট (২) প্রোগ্রাম অফিসার ববিতাকে। তাঁর লাগাতার সমাজসেবামূলক কাজের জন্য ২০২৩ সালে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। সমাজের প্রতি ববিতার কঠোর অধ্যবসায় অনুপ্রাণিত করেছে তাঁর কলেজ ছাড়াও শহরের বাকি কলেজের পড়ুয়াদের। কীভাবে পড়ুয়াদের মধ্যে সমাজসেবামূলক কাজের প্রতি আগ্রহ আরও বাড়িয়ে তোলা যাবে সে ব্যাপারে প্রোগ্রাম অফিসারের বক্তব্য, ‘ইন্টার কলেজ কর্মসূচি আরও বাড়াতে হবে। বেশি করে পড়ুয়ারা যাতে এনএসএস-এ যুক্ত হয়ে আরও বেশি সমাজসেবামূলক কাজ করে সেদিকে নজর দিতে হবে।’ কলেজের অধ্যাপকের এই সাফল্যে খুশি সূর্য সেন মহাবিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।