উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: লাল টুকটুকে বেনারসি, সোনার গয়না, এক ঝলক দেখলে বোঝার উপায় নেই নববধূ পাহাড়ি কন্যা।অন্যদিকে, বরের পড়নে সম্পূর্ণ গোর্খা সম্প্রদায়ের পোশাক।ঐতিহ্য মেনে সঙ্গে রয়েছে খুকরিও। শুধুই যে বর কনে এমন সেজেছেন তা নয়, বরযাত্রীরাও সকলেই সেজে উঠলেন নেপালি ঐতিহ্যের ছোঁয়ায়। অভিষেক থেকে ফিরহাদ কেউই বাদ গেল না সেই তালিকা থেকে। সোনার হার দিয়ে নতুন বউমাকে আশীর্বাদ করলেন শ্বশুরমশাই কার্ত্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে বরকর্তা ফিরহাদ হাকিম প্রদীপ, দুর্বায় স্বাগত জানালেন পাহাড়ি মেয়েকে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো আবেশ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কার্শিয়াং এর মেয়ে দীক্ষা ছেত্রী। পড়তে গিয়ে আলাপ দুজনের। তারপর প্রেম, প্রেম পর্ব শেষে পরিণয়। দুজনেই পেশায় চিকিৎসক। পূর্ব ঘোষণামতো বৃহস্পতিবার কার্শিয়াংয়ের কমিউনিটি হলে আবেশ-দীক্ষা বাগদান ও বিবাহপর্ব সুসম্পন্ন হয়। এদিন সকাল থেকেই রাজকীয় বিয়েকে কেন্দ্র করে ছিল উৎসবের মেজাজ। ঠান্ডা উপেক্ষা করে পরিবারের মেয়েরা বিয়েবাড়ির সাজে সেজে উঠেছিলেন। ভাইয়ের বিয়ে উপলক্ষে সেজেছিলেন তৃণমূলের সেনাপতি অভিষেকও। নেপালি রীতি মেনে দিনভর নানান অনুষ্ঠান উপভোগ করেন দুই পরিবারের সদস্যরা। মন্ত্রী গৌতম দেব, তৃণমূল নেতা সৌরভ চক্রবর্তীরাও গোর্খা টুপি পরে উপস্থিতি ছিলেন বিয়ের অনুষ্ঠানে। বিয়ের পর যুগলে আশীর্বাদ নিতে যান মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। আগামী ১০ তারিখ কলকাতার ইকো পার্কে হবে বধূবরণ।