পলাশবাড়ি: ক্ষতিপূরণ না মেলায় টাওয়ারের কাজ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে(Chief Minister) অভিযোগ জানালেন আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের পূর্ব কাঁঠালবাড়ির এক বধূ। সেখান থেকে আশ্বাস দেওয়া হলেও আশ্বস্ত হতে পারছেন না তিনি। তাই শুক্রবার বিদ্যুৎ দপ্তরের ওই টাওয়ারের(Tower) কাজ বন্ধ করে দিলেন স্থানীয় প্রভাতী বর্মন। আরেক বাসিন্দা ইন্দ্রজিৎ বর্মনও একই ইস্যুতে সরব হয়েছেন। স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা স্থানীয়দের দাবিকে সমর্থন জানাচ্ছেন। বিদ্যুৎ দপ্তরের একজন অ্যাসিট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার এদিন ঘটনাস্থলে এলেও জট কাটেনি। তাই পরবর্তীতে আলোচনায় বসে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
এদিন সকালে কাজে বাধা এলে ঘটনাস্থলে আসেন বিদ্যুৎ দপ্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার। তিনি জানিয়েছেন, বিষয়টি দপ্তরের উপরমহলে জানানো হয়েছে। গ্রামবাসীর সঙ্গে পরবর্তীতে ফের আলোচনা হবে। এদিকে, বারবার চেষ্টা করা হলেও ফোন বন্ধ থাকায় বিদ্যুৎ দপ্তরের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার (সিভিল) প্রণবেশ রায়ের প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
কিন্তু বিদ্যুতের টাওয়ার বসানো নিয়ে কেন এই জটিলতা? জানা গেল, পূর্ব কাঁঠালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ের উলটোদিকে ফালাকাটা-আলিপুরদুয়ার সড়কের পাশে পশ্চিম কাঁঠালবাড়ি গ্রামে দু’বছর আগেই বিদ্যুৎ দপ্তরের একটি টাওয়ারের ভিত তৈরির কাজ হয়। বিদ্যুৎ দপ্তর সূত্রে খবর, মহাসড়কের কাজ চলছে। তাই বিদ্যুৎবাহী তার আরও কিছুটা উপর দিয়ে নিতে হবে। এজন্য জায়গা বদল করে নতুন টাওয়ারের বাকি কাজ সম্প্রতি শুরু হয়। কিন্তু এই নতুন টাওয়ারের পাশেই বাড়ি প্রভাতী বর্মনের। স্বামী বাইরে কাজ করেন। প্রভাতী জানালেন, ঘরের ৮-১০ ফুট দূরে টাওয়ার তৈরি হচ্ছে। বিদ্যুৎবাহী তার ঘরের কাছাকাছি উপর দিয়ে যাবে। যে কোনও সময় তার ছিঁড়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
তিনি বললেন, ‘এজন্য আমরা ক্ষতিপূরণ চাই। আর সমস্যার কথা জানিয়ে আগে প্রশাসনের সব মহলে লিখিত অভিযোগ জানাই। তাতে কাজ হয়নি। কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রীর নম্বরে ফোন করি৷ মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে তিন মাস সময় দেওয়া হয়।’ কিন্তু তা সত্ত্বেও এদিন টাওয়ারের কাজ শুরু হলে বাধা দেন তিনি। পাশেই বাড়ি ইন্দ্রজিৎ বর্মনের। তাঁর কথায়, ‘আমার জমির উপর দিয়ে তার যাচ্ছে। অথচ ক্ষতিপূরণ মেলেনি।’ তাই তিনিও আপত্তি তোলেন কাজ নিয়ে।
ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূলের পূর্ব কাঁঠালবাড়ি অঞ্চল চেয়ারম্যান নিখিলকুমার পোদ্দার, শাসকদলের এক বুথ সভাপতি প্রদীপ বর্মন ঘটনাস্থলে আসেন৷ তাঁরা স্থানীয়দের পাশে দাঁড়ান। নিখিলের কথায়, ‘মুখ্যমন্ত্রীর টোল ফ্রি নম্বরে যেহেতু অভিযোগ গিয়েছে, তাই ওই বধূর দাবি বিদ্যুৎ দপ্তরকে ভেবে দেখতে হবে। উন্নয়ন হোক, এটা আমরাও চাই। কিন্তু কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না।’ এ নিয়ে বিদ্যুৎ কর্তাদের সঙ্গে তাঁর কথা চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।