নিউজ ব্যুরো: ভোট পরবর্তী হিংসা রুখতে জেলায় জেলায় নোডাল অফিসার নিয়োগ করল বিএসএফ। আদালত জানিয়েছিল, গণনার পর অন্তত ১০ দিন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে বাংলায়। সেই হিসেবে অন্তত ২১ জুলাই পর্যন্ত বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকছে। এমন পরিস্থিতিতে বিএসএফের আইজি এস সি বুদোকোটি প্রতিটি জেলায় একজন করে নোডাল অফিসার নিয়োগ করেছেন। এই অফিসাররা প্রতিটি জেলার পুলিশ ও প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করবেন। তবে আদর্শ আচরণবিধি যেহেতু বুধবারই প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে, তাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়টি এখন পুরোপুরি রাজ্য সরকারের এক্তিয়ারে। সাংবিধান অনুযায়ী কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্য পুলিশের কথা শুনে চলতে বাধ্য।
এদিকে, বৃহস্পতিবার সকালে নবান্নে রাজ্যের মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে এবং স্বরাষ্ট্র সচিব, ডাইরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ এর উপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নোডাল অফিসার তথা আইজি বিএসএফের সঙ্গে বৈঠক হয়। রাজ্যের তরফে বিএসএফ কর্তাকে বলা হয়েছিল, অশান্তির খবর পেলে জেলা পুলিশকে না জানিয়ে বাহিনী সেখানে যেতে পারবে না। বিএসএফের আইজি এসসি বুদোকোটি এদিন বিকেলে স্পষ্ট জানান, কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্য পুলিশের অনুমতির অপেক্ষা করবে না। যেখানে অশান্তি ও হিংসার খবর পাবে সেখানেই যাবে। বিএসএফ কর্তা জানিয়ে দিয়েছেন, কলকাতা হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে তারপর রাজ্য পুলিশের অনুমতির প্রয়োজন নেই। যে কারণে চাপে পড়ে গিয়েছে রাজ্য সরকার। আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের অধীন বিষয় হলেও এখন হাইকোর্টের নির্দেশে বিএসএফের ভূমিকা নিয়ে সরাসরি তাঁরা প্রতিবাদও করতে পারছে না।
নবান্নের কর্তারা মনে করছেন, অশান্তি-হিংসা অব্যাহত থাকলে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে আরও বেশি দিন থাকতে পারে। সেকারণে এদিন নবান্ন থেকে সব জেলাশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। কোথাও কোনও অশান্তি হতে দেওয়া যাবে না। বরং স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। জেলাশাসকদের এমন নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।