শিলিগুড়ি: অন্যরা ছুটছে ৫জির গতিতে। সেখানে চলতি মাসে উত্তরবঙ্গে ফোর-জি পরিষেবা চালু করতে চলেছে বিএসএনএল। তবে, শিলিগুড়িতে এই পরিষেবা চালু হতে আরও অন্তত এক মাস সময় লাগবে।
ইতিমধ্যে শিলিগুড়ি, দার্জিলিং, কালিম্পং সহ গোটা উত্তরবঙ্গেই বিএসএনএলের সিংহভাগ টাওয়ারে ফোর-জি বিটিএস (বেস ট্রান্সরিসিভার স্টেশন) প্রযুক্তি যুক্ত করা হয়েছে। অনেক জায়গায় অপটিকাল ফাইবার কেবল বসানোর কাজও জোরকদমে চলছে। বিএসএনএলের শিলিগুড়ি মূল এক্সচেঞ্জে ফোর-জি মোবাইল সুইচিং সেন্টার (এমএসসি) বসানোর কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। সংস্থার শীর্ষ কর্তাদের বক্তব্য, এখন মোবাইল নেটওয়ার্কহীন এলাকাগুলিতে নতুন ফোর-জি বিটিএস বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তবে, শহরাঞ্চলে নতুন বিটিএস বসানোর ক্ষেত্রে জমির সমস্যা থাকায় এখানে থ্রি-জি বিটিএসগুলিকেই ফোর-জিতে উন্নীত করা হচ্ছে। ফোর-জি বিটিএসগুলিতে ফাইভ-জি’র প্রযুক্তিও যুক্ত থাকায় অদূরভবিষ্যতে বিএসএনএলও এখানে ফাইভ-জি পরিষেবাও চালু করতে পারবে। সেক্ষেত্রে আর বিটিএসে কোনও রদবদলের প্রয়োজন হবে না। বিএসএনএল ফোর-জি ৩০০-৭৫০ এমবিপিএস স্পিড দেবে বলেও কর্তারা আশাবাদী।
শিলিগুড়ি সহ দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলায় বিএসএনএলের নিজস্ব ২২৪টি বিটিএস রয়েছে। গোটা উত্তরবঙ্গের হিসাব ধরলে এই সংখ্যাটা ৭৫০-র কাছাকাছি। ফোর-জি এবং ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক চালু করতে গেলে সংস্থাকে বিটিএসের সংখ্যা বাড়াতে হবে। কেননা আধুনিক এই দুটি প্রযুক্তিতে বিটিএসের কভারেজ এলাকা অনেকটাই কমে আসে। কিন্তু শিলিগুড়ি শহরে নতুন মোবাইল টাওয়ার বসানোর জন্য জায়গা পাচ্ছে না এই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা। তাই এখানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে বিটিএসের কভারেজ এলাকা বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। পাশাপাশি শহর সংলগ্ন এলাকায় টাওয়ার বসানোর জন্য রাজ্য সরকারের কাছে জমি চাওয়া হয়েছে।
বিএসএনএল-এর পশ্চিমবঙ্গ শাখার এক শীর্ষ কর্তা এদিন বলেছেন, ‘উত্তরবঙ্গে শীঘ্রই ফোর-জি চালু হয়ে যাবে। চলতি মাসেই কালিম্পংয়ের বিন্দুতে ফোর-জি বিটিএসের উদ্বোধন হওয়ার কথা রয়েছে। তবে, দিনক্ষণ এখনও স্থির হয়নি। ওই অনুষ্ঠানে চিফ জেনারেল ম্যানেজার, জেনারেল ম্যানেজারের (মোবাইল) উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।’
বিন্দুকেই কেন বাছাই করা হল? ওই কর্তার বক্তব্য, ‘বিন্দুতে সীমান্ত সুরক্ষাবাহিনীর ছাউনি রয়েছে। সেখানে এতদিন কোনও মোবাইল নেটওয়ার্ক ছিল না। সেজন্য বিন্দু থেকেই উত্তরবঙ্গের ফোর-জি পরিষেবা চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাহাড়ের আরও বেশ কিছু মোবাইল নেটওয়ার্কহীন এলাকায় টাওয়ার বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। জুন মাসের মধ্যে শিলিগুড়ি এবং ১৫ অগাস্টের মধ্যে পুরো উত্তরবঙ্গে এই পরিষেবা চালু হয়ে যাবে।’