মিঠুন ভট্টাচার্য, শিলিগুড়ি: বৃহস্পতিবার সকালে বাসের সঙ্গে স্কুটারের সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন দুজন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি জাতীয় সড়কের গন্ডার মোড় এলাকা। বেসরকারি বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। বাধা দিতে এলে পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো খন্ডযুদ্ধ শুরু হয় তাদের। স্কুটারে থাকা দুজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় ফুলবাড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, এই ঘটনায় আমবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির এক আধিকারিক সহ বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। এরপর নিউ জলপাইগুড়ি ও রাজগঞ্জ থানা সহ আমবাড়ি ফাঁড়ির বিশাল পুলিশবাহিনী পৌঁছায় ঘটনাস্থলে। ঘটনাস্থলে আসে ফুলবাড়ি দমকল কেন্দ্রের একটি ইঞ্জিন। দীর্ঘক্ষণের প্রচেষ্টায় বাসের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ঘটনার পর বেশ কয়েক ঘণ্টা এলাকায় উত্তেজনা লক্ষ্য করা গিয়েছে। স্থানীয় অনেকে আবার পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জ করার অভিযোগ করেছেন। গাড়ি দুটিকে নিউ জলপাইগুড়ি থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এদিন ফালাকাটা থেকে শিলিগুড়ির দিকে আসছিল বেসরকারি বাসটি। বাসের এক আরোহীর কথায়, “গাড়িটি দ্রুতগতিতে চলছিল। মাঝে মাঝে মনে হচ্ছিল এই বুঝি দুর্ঘটনা ঘটল। অবশেষে হলও তাই।” স্থানীয়রা জানান, বন্ধু নগরের তেঁতুলতলা এলাকায় একটি স্কুটারে ধাক্কা মারে বাসটি। স্কুটার থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়েন দুজন আরোহী। কিন্তু স্কুটার বাসের নীচে দুই চাকার মাঝে আটকে যায়। সেভাবেই কয়েকশো মিটার এগিয়ে যায় বাস। এমন দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন অনেকেই। স্থানীয় রতন সরকার বলেন, “গাড়িটিকে পালিয়ে যেতে দেখে অনেকে পিছু ধাওয়া করেন।” অবশেষে গন্ডার মোড়ের কাছে গাড়িটিকে দাঁড় করিয়ে চালক পালিয়ে যায়।
দুর্ঘটনায় আহত দুজনের নাম হামিদার রহমান ও আয়ুব মহম্মদ, বাড়ি আমবাড়ির বীরভান এলাকায়। সম্পর্কে তাঁরা শ্যালক ও জামাইবাবু বলে জানা গিয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ফুলবাড়ির বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে দুজনের।