হরিশ্চন্দ্রপুর: প্রার্থী তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও দলীয় প্রতীক না মেলায় বিক্ষোভে শামিল প্রার্থীরা। সোমবার এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নম্বর ব্লকের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের ভগবানপুর গ্রামে। রাজ্যস্তর থেকে প্রার্থী তালিকা পাঠানো হয়েছিল শাসক দলের তরফে। সেই তালিকায় নামও ছিল। অথচ নমিনেশন জমা করতে গিয়ে প্রার্থী জানতে পারেন তাকে দলীয় প্রতীক দেওয়া হবে না। তার পরিবর্তে এলাকারই আরেক জনকে প্রতীক দেওয়া হয়েছে। এই খবর জানতে পেরে তালিকায় থাকা প্রার্থীরা এবং তাদের অনুগামীরা এদিন সকালে রাজ্যসড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। টাকার বিনিময়ে দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে শাসক দলের টিকিট দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলেন তারা। এই ঘটনার পেছনে জেলা এবং ব্লক নেতৃত্ব রয়েছে বলে দাবি। যদিও আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি জেলা তৃণমূল নেতৃত্বর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কুশিদা পঞ্চায়েত সমিতির ১ নম্বর বুথের প্রার্থী মেহেতাজ বানু ও ২ নম্বর বুথের প্রার্থী রেজা আলির নাম প্রার্থী তালিকায় আসে। তারপরই মনোনয়ন পেশ করেন দুই প্রার্থী। কিন্তু গতকাল তারা জানতে পারেন দল থেকে তাদের কোনও দলীয় প্রতীক দেওয়া হচ্ছে না, সে কারণে তাদের নাম বাদ যায়। মেহেতাজ বানু ও রেজার আলির পরিবর্তে দলীয় প্রতীক দেওয়া হয়েছে নিখাদ বানু ও প্রকাশ দাসকে। এই খবর শোনার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন প্রার্থীরা। তাঁদের অভিযোগ, হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মানিক দাস লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে প্রার্থী পদে কারচুপি করেছেন। মোটা অংকের টাকা নিয়ে দুর্নীতিগ্রস্তদের দলীয় প্রতীক দিচ্ছেন। শুধু তাই নয়, ৩ লক্ষ টাকা দিলেই তবেই মিলবে দলীয় প্রতীক। ব্লক তৃণমূল সভাপতি মানিক দাসের বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে সরব প্রার্থী সহ তৃণমূল কর্মীরা।
এ প্রসঙ্গে মানিক দাস বলেন, ‘স্থানীয়ভাবে কোনও প্রার্থীকে মনোনীত করা হয়নি। সমস্ত কেন্দ্রীয় স্তর থেকে করা হয়েছে এবং আইপ্যাকের পরিচালনায় কে যোগ্য প্রার্থী হবে সেটা নির্বাচন করা হয়েছে। যারা দলের মধ্যে দুর্নীতিগ্রস্ত তারাই এখন পদ না পেয়ে চেঁচামেচি করছে। দলের বিরোধিতা করছে।’ মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আব্দুর রহিম বকসি বলেন, ‘টাকার বিনিময় দলীয় প্রতিক বিক্রির অভিযোগ মিথ্যে ও ভিত্তিহীন। তৃণমূল কংগ্রেস দুর্নীতিগ্রস্তদের প্রার্থী করেনা। যারা অভিযোগ করছে তারা পদলোভী।’ এই ঘটনায় শাসক দলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধী দল। বিজেপির উত্তর মালদা সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক রূপেশ আগরওয়াল জানান, টাকার বিনিময় দলীয় প্রতীক এটা পুরোপুরি ভাবে বাস্তব। টাকা ছাড়া তৃণমূল চলে না।