শিলিগুড়ি: পোড়াঝাড়ে পাখিদের আবাসস্থল রক্ষায় এবার থানায় অভিযোগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিলিগুড়ির স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি। পাশাপাশি পরিবেশ আদালতে মামলা করারও প্রস্তুতি নিচ্ছে। এদিকে, খবর প্রকাশিত হতেই এলাকা নিয়ে খোঁজখবর শুরু করেছে বন দপ্তর। সূত্রের খবর, বন দপ্তরের কার্সিয়াং ডিভিশনের বাগডোগরা রেঞ্জ খোঁজখবর শুরু করেছে। কিন্তু বন দপ্তরের এহেন ঢিলেঢালা মনোভাবে রীতিমতো ক্ষুব্ধ পরিবেশপ্রেমী সংস্থাগুলি। সরকারি জমি বাঁচাতে কোটি কোটি টাকা খরচ করে বৃক্ষরোপণ করা হলেও কেন সেগুলির যত্ন নেওয়া হল না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা। সলিটারি নেচার অ্যান্ড অ্যানিমাল প্রোটেকশন ফাউন্ডেশনের কর্ণধার কৌস্তভ চৌধুরীর বক্তব্য, ‘বন দপ্তরকে আরও বেশি সতর্ক এবং সজাগ হতে হবে। একটা নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে তারপর জলাভূমি সংরক্ষণের কাজ করতে হবে। এটা তো এক বছর বা দুই বছরের কাজ নয়। এটা দীর্ঘমেয়াদি কাজ।’
পরিবেশপ্রেমী সংগঠন ঐরাবতের কর্ণধার অভিযান সাহার বক্তব্য, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি থানায় অভিযোগ দায়ের করব। পাশাপাশি আমরা পরিবেশ আদালতে যাব।’
শিলিগুড়ির পোড়াঝাড় এলাকায় তিস্তার চর বাঁচাতে সেখানে বছর দুয়েক আগে কোটি টাকা খরচ করে বৃক্ষরোপণ করেছিল বন দপ্তরের সোশ্যাল ফরেস্ট ডিভিশন। চারদিকে কাঁটাতারের ঘেরা দিয়ে দুটি ওয়াচটাওয়ার তৈরি করে দুজন কর্মী নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু বছর দুয়েকের মধ্যে ওই কাঁটাতারের বেড়া সরিয়ে দিয়ে গাছ কেটে জমি দখল করা হয়। ওই এলাকায় বিভিন্ন প্রজাতির পরিযায়ী পাখি আসে। অভিযোগ, পাখিদের আবাসস্থলে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে পাশাপাশি ডিজে বাজিয়ে পিকনিক করা হচ্ছে। চলছে মদ খেয়ে হইহুল্লোর। পরিবেশপ্রেমী সংগঠনগুলি বারবার বিষয়টি বন দপ্তরের নজরে আনলেও কোনও লাভ না হওয়ায় এবার মামলার পথে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। বন দপ্তরের কার্সিয়াং ডিভিশনের এক কর্তা জানিয়েছেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। শীঘ্রই পদক্ষেপ করা হবে।’