বালুরঘাট: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার বালুরঘাট স্টেডিয়ামে বসানো হল সিসিটিভি। এই প্রথম সিসিটিভি ক্যামেরা বসল স্টেডিয়ামে। খেলার মাঠ থেকে গোটা স্টেডিয়াম চত্বরে মোট ১৩টি সিসিটিভি লাগানো হয়েছে। এর ফলে খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা আরও সুনিশ্চিত হবে। প্রয়োজনে আগামী দিনে আরও সিসিটিভি লাগানো হবে বলে জেলা ক্রীড়া সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে।
বর্তমানে স্কুল কলেজ থেকে বিভিন্ন সংস্থায় নিরাপত্তা কারণে সিসিটিভি লাগানো হয়। তবে এত দিন পর্যন্ত বালুরঘাট স্টেডিয়ামে কোনও সিসিটিভি ছিল না। এদিকে সিসিটিভি না থাকার ফলে রাত হলেই সমাজবিরোধীদের আড্ডা বাড়ছিল স্টেডিয়াম চত্বরে। বিষয়টি নজরে আসতেই দুর্গাপুজোর আগে তড়িঘড়ি বৈঠকে বসে জেলা ক্রীড়া সংস্থা। বৈঠক সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় স্টেডিয়ামে সিসিটিভি লাগানো হবে। এরপরই প্রথম দফায় ১১টি ও পরে আরও ২টি সিসিটিভি লাগানো হয়। অফিস রুম থেকে গোটা স্টেডিয়াম এখন সিসিটিভির আওতায় রয়েছে। এদিকে সিসিটিভি লাগানোর পর স্টেডিয়াম চত্বরে সমাজ বিরোধীদের আনাগোনা বন্ধ হয়েছে।
সামনেই বিভিন্ন খেলার মরশুম রয়েছে। বাইরে থেকে খেলোয়াড় আসে। পুরুষদের পাশাপাশি মহিলা খেলোয়াড় রয়েছে। তাঁদের নিরাপত্তা আরও সুনিশ্চিত করা যাবে স্টেডিয়ামে সিসিটিভি লাগানোর ফলে। পুরুষদের পাশাপাশি মহিলা খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা জরুরি। এখন ঘরে বসেই স্টেডিয়ামের কোথায় কী হচ্ছে তা দেখা যাচ্ছে ও রেকর্ড থাকছে। এর ফলে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর সাহসও সহজে কেউ পাবে না।
এবিষয়ে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক অমিতাভ ঘোষ বলেন, ‘প্রায় ৬০ হাজার টাকা ব্যয়ে স্টেডিয়ামে দুই দফায় ১৩টি সিসিটিভি লাগানো হয়েছে। এর আগে স্টেডিয়ামে কোনও সিসিটিভি ছিল না। কার্যকরী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়েই এই সিসিটিভি লাগানো হয়েছে। এর ফলে যেমন স্টেডিয়ামে কী হচ্ছে তা নজরে থাকছে। পাশাপাশি স্টেডিয়াম চত্বরে সমাজ বিরোধীদের আনাগোনা কমেছে।‘
জেলা পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তাল বলেন, ‘যে কোনও জায়গায় সিসিটিভি থাকলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা থাকে। কোনও ঘটনা ঘটলেও পুলিশের তদন্ত করতে সুবিধা হয়।‘