দিনহাটা: রাজ্য চাইলে কেন্দ্র আধা সামরিক বাহিনী দিতে প্রস্তুত। শনিবার কোচবিহার জেলার দিনহাটা ২-এর বিডিও অফিসে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা করাতে এসে এমনটা বললেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা কোচবিহারর সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। পাশাপাশি রাজ্য নির্বাচন কমিশন, পুলিশ ও রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করলেন তিনি।
এদিন বিজেপির কোচবিহারের সভাপতি সুকুমার রায় সহ জেলাস্তরীয় নেতাদের নিয়ে বেলা ১টা নাগাদ দিনহাটা ২ এর খাঁরুভাজ এলাকায় পৌঁছান মন্ত্রী। এরপর শতাধিক প্রার্থী ও দলীয় কর্মীদের নিয়ে মিছিল করে তিনি সাহেবগঞ্জ বিডিও অফিস সংলগ্ন এলাকায় যান। দলীয় প্রার্থীদের মনোয়নন কেন্দ্রে পাঠিয়ে তিনি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘আমরা মনোয়নন জমা করতে এসেছি। আমরা চাই মনোনয়ন প্রক্রিয়া শান্তিপূর্ণভাবে হোক। নির্বাচন কমিশন হঠকারিতা করে মাত্র ৭ দিন সময় দিয়েছে। তার মধ্যে প্রথমদিন মনোনয়ন প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। এরপর রবিবারও রয়েছে। কাজেই মাত্র ৫ দিন সময় পাওয়া গেল। এক কথায় ভারতীয় জনতা পার্টির যারা প্রার্থী আছে তাঁরা যেন নমিনেশন দিতে না পারে নির্বাচন কমিশন কৌশলগতভাবে তাই করছে।’ পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘একদিকে পুলিশ ও অন্যদিকে গুন্ডাদের যৌথ প্রয়াস গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া স্তব্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। আমরা চাই নির্বাচন প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে হোক। প্রশাসন নিরপেক্ষ ভুমিকা পালন করুক। রাজ্য প্রশাসনে দলতন্ত্র চলছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে যদি কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন হয় কেন্দ্র সরকার ২৪ ঘন্টার মধ্যে বাহিনী মোতায়েন করতে প্রস্তুত।’
রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন ব্লক অফিসে মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। এদিন সকাল থেকে মনোয়নন প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে সাহেবগঞ্জ এলাকায় ছিল কড়া নিরাপত্তা। সাহেবগঞ্জ থানার ওসি অ্যান্টনি হোড়োর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে মোতায়েন ছিল। কার্যত সামনের রাস্তা দিয়ে সাধারণ মানুষের চলাচল নিষিদ্ধ করে পুলিশ। এর ফলে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।