গাজোল: আলোর উৎসব দীপাবলিতে থানা সংলগ্ন এলাকাকে মুড়ে ফেলা হচ্ছে রঙিন আলোক মালায়। এবারে কালীপুজোয় গাজোল থানা আবাসন মহিলা সমিতির উদ্যোগে বড় আকর্ষণ চন্দননগরের আলোকসজ্জা। অন্যান্য বছর ধুমধাম সহকারে শ্যামামায়ের আরাধনা করে থাকতেন গাজোল থানা আবাসন মহিলা সমিতির সদস্যরা। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির জন্য বেশ কয়েক বছর অনেক কিছু কাটছাঁট করতে হয়েছিল। আচার অনুষ্ঠান মেনে মায়ের পুজো হয়েছে ঠিকই, কিন্তু তেমনভাবে জাঁকজমক ছিল না। তবে এবার পুজো হচ্ছে বেশ জাঁকজমকভাবেই। বাহারি আলোকসজ্জার পাশাপাশি তৈরি হচ্ছে সুদৃশ্য অস্থায়ী মণ্ডপ। সব মিলিয়ে জোরকদমে চলছে শ্যামা আরাধনার প্রস্তুতি।
গাজোল থানা মহিলা আবাসন সমিতি পরিচালিত শ্যামাপূজা হলেও, মূলত থানার পুজো নামে পরিচিত এটি। স্বাভাবিকভাবেই মহিলাদের সহযোগিতা করার জন্য পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন অন্যান্যরাও। আগে থানার পুজোকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকদিন ধরে অনুষ্ঠিত হতে যাত্রাপালা। নামজাদা শিল্পীদের নিয়ে বসতো জলসার আসর। আতশবাজির প্রদর্শনী ও হয়েছিল বেশ কয়েকবার। সঙ্গে পুজোর পরের দিন অনুষ্ঠিত হতো নরনারায়ন সেবা। থানা চত্বরে পাত পেড়ে প্রসাদ খেতেন কয়েক হাজার মানুষ। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির জন্য মাঝখানে প্রসাদ বিতরণ কর্মসূচিও বাতিল করা হয়েছিল। পরিবর্তে প্যাকেটে করে প্রসাদ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। তবে থানা চত্বরে মায়ের যে মন্দির রয়েছে সেখানে প্রতিদিন নিত্যপুজো অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি অমাবস্যাতে পুজো হয় ধুমধাম সহকারে।
এবারের পুজো কমিটির সম্পাদিকা মৌসুমী সরকার এবং সভানেত্রী দীপিকা সাহা ঘোষাল জানান, থানা আবাসন মহিলা সমিতির পুজো দেখার জন্য মুখিয়ে থাকেন গোটা গাজোলের মানুষ। করোনা পরিস্থিতির জন্য মাঝখানে অনেক কিছু কাটছাঁট করতে হয়েছিল। পুজোর পরদিন যে প্রসাদ বিতরণ কর্মসূচি থাকতো তাও বাতিল করা হয়েছিল। কিন্তু এবার বেশ জাঁকজমকভাবেই মায়ের পুজো হবে। পুজোকে কেন্দ্র করে থানা সংলগ্ন এলাকাকে চন্দননগরের আলোকসজ্জায় মুড়ে ফেলা হচ্ছে। বিশাল মাপের গেট তৈরি হচ্ছে শ্যামসুখি স্কুলের সামনে, পোস্ট অফিসের সামনে এবং থানা রোডে। পাশাপাশি থানার প্রবেশপথেও একটি বড় মাপের গেট তৈরি করা হচ্ছে। এবার পুজোর পরের দিন সকাল থেকে পেট পুরে প্রসাদ খাওয়ার ব্যবস্থা থাকছে। সঙ্গে থাকছে দুঃস্থদের জন্য বস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি। চন্দননগরের আলোক শিল্পী ঝন্টু সরকার থাকছেন আলোকসজ্জার দায়িত্বে। মণ্ডপ তৈরি করছেন গাজোলের শিল্পী অপু দাস। বরাবরের মতো এবারও মায়ের সাবেকি মূর্তি তৈরি করছেন মৃৎ শিল্পী মধুসূদন পাল। সব মিলিয়ে সমস্ত মানুষের অংশ গ্রহণের মধ্যে দিয়ে এবার বেশ জাঁকজমকভাবেই অনুষ্ঠিত হবে থানা আবাসন মহিলা সমিতির কালীপুজো।