উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ এক যুবককে রাস্তায় কানধরে ওঠবস করানোর অভিযোগ উঠল চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারের বিরুদ্ধে। বিধায়কের নির্দেশে যুবকের কানধরে ওঠবস করার ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল সমাজ মাধ্যমে। এই ঘটনার নিন্দায় বিজেপি। বিধায়ক জানিয়েছেন রাস্তায় দাঁড়িয়ে এক স্বাস্থ্যকর্মীকে হেনস্থা করছিল কিছু যুবক। তাই একজনকে ধরতে পেরে কানধরে ওঠবস করিয়েছি সবক শেখাতে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মঙ্গলবার বিকেলে বিধানসভা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। ফেরার পথে, কাজিডাঙার কাছে দেখেন কয়েকজন মিলে পোলবা হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী শুভজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে হেনস্থা করছে। বিষয়টি নজরে আসতেই বিধায়ক গাড়ি দাঁড় করিয়ে নেমে পড়েন। বিধায়ককে গাড়ি থেকে নামতে দেখেই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। সেই সময় স্থানীয়রা দৌড়ে এক যুবককে ধরে ফেলে। অভিযোগ, বিধায়ক তাকে বকাবকি করেন এবং কান ধরে ওঠবস করান। এই ভিডিও ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে যায়।
চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, “আমি পোলবা ও মগড়া হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান। বিধানসভা থেকে বাড়ি ফেরার সময় দেখি পোলবা হাসপাতালের এক কর্মীকে ধরে হেনস্থা করছে কয়েকজন। কী ব্যাপার জানতে গাড়ি থেকে নামতেই পালিয়ে যায় দুজন। আমি থানায় ফোন করে ওদের তুলিয়ে দিতাম। একজনের বাবা মা এসে হাতে পায়ে ধরে বারণ করল। তখন ওই যুবককে কান ধরে ওঠবস করাই। ওই যুবককে আমি বলেছি, কেউ কিছু অন্যায় করে থাকলে তার জন্য আইন আছে, থানা পুলিশ আছে। বিচারের দায়িত্ব কেউ যেন নিজের হাতে না নেয়। আবার যদি এমন দেখি, যা করেছি আবার তা করব।”
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন হুগলির বিজেপির সম্পাদক সুরেশ সাউ। তিনি বলেন, “বিধায়ক নিজে বলছেন আইন হাতে তুলে না নিতে। আর এক যুবককে রাস্তায় কান ধরে ওঠবস করাচ্ছেন। ওই যুবক যদি অন্যায় করে থাকে তাহলে বিধায়ক কেন পুলিশ ডাকলেন না। এই ঘটনা নিন্দাজনক।”
এই ঘটনার পর পোলবা হাসপাতালের কর্মী শুভজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যান্ডেল পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি বলেন, “হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরছিলাম। বিনা কারণে তিন যুবক আমাকে আটকে হেনস্থা করে। আমাকে থাপ্পর মারবে বলে। তখন বিধায়ক চলে আসেন।”