রায়গঞ্জ: শহরের ফুটপাথে বেড়ে চলেছে হকারের সংখ্যা। যার ফলে পথচারীদের যাতায়াতে সমস্যা হয়। এই অবস্থায় রায়গঞ্জে ফুটপাথ দখলমুক্ত করতে উদ্যোগী হয়েছে পূর্ত দপ্তর ও মহকুমা প্রশাসন। ঘড়ি মোড় থেকে শিলিগুড়ি মোড় পর্যন্ত ১৬৩ জন হকারকে উচ্ছেদের নোটিশ দিয়েছে পূর্ত দপ্তর। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে জায়গা ফাঁকা করতে বলা হয়েছে। এদিকে হকারদের উচ্ছেদের নোটিশ পড়তেই তাঁদের পুনর্বাসনের দাবিতে আন্দোলনে নামল সিটু প্রভাবিত উত্তর দিনাজপুর স্ট্রিট হকার্স ইউনিয়ন। হকার উচ্ছেদ অভিযান বন্ধের দাবি জানিয়ে পূর্ত দপ্তরের আধিকারিকের পাশাপাশি রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারপার্সনকে স্মারকলিপি দেন তারা।
সংগঠনের অভিযোগ, পূর্ত দপ্তর বেছে বেছে হকারদের উচ্ছেদের নোটিশ দিয়েছে। যাঁরা বেআইনিভাবে বড় বিল্ডিং করে রাস্তা দখল করে ব্যবসা করছে তাঁদের উচ্ছেদের নোটিশ দেওয়া হয়নি। যদিও পূর্ত দপ্তরের আধিকারিক এই অভিযোগ মানতে নারাজ। পূর্ত দপ্তরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার শরদিন্দু মণ্ডলের দাবি, যাঁরা রাস্তা দখল করে ব্যবসা করছেন তাঁদের সরে যাওয়ার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে।
সংগঠনের সভাপতি চঞ্চল দত্ত জানান, রায়গঞ্জ শহরকে যানজটমুক্ত করে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা হোক সকলে চান। তবে যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে ফুটপাথে বসে পরিবারের অন্নসংস্থান করছেন তাঁদের পেটে লাথি মারা যাবে না। হকারদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে হঠাৎ করে তাঁদের ফুটপাথ থেকে সরিয়ে দেওয়া যাবে না। সিটু নেতা কার্তিক দাস জানান, শুধুমাত্র হকার উচ্ছেদ করে শহরকে যানজটমুক্ত করা যাবে না। রাজ্যজুড়ে হকার আছে, আগামীদিনেও থাকবে। তবে তাদের জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। হকারদের উচ্ছেদের আগে তাঁদের জন্য মার্কেট তৈরি করে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা পুরসভা ও প্রশাসনকে করতে হবে।