কলকাতা: ইউনেস্কোর হেরিটেজ স্বীকৃতি পেয়েছে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতন। অথচ বিশ্বভারতীর ফলকে কোথাও তাঁর নামই নেই। তার পরিবর্তে শ্বেতপাথরের ওপর খোদাই করা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিশ্বভারতীর বর্তমান উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম। বৃহস্পতিবার কালীঘাটে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এনিয়ে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, বিশ্বভারতীর ফলকে রবীন্দ্রনাথের নাম না লেখা হলে আন্দোলন শুরু করবেন তাঁরা।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে একাধিক ইস্যু উঠে আসে। শান্তিনিকেতনের প্রসঙ্গও উঠে আসে মমতার মুখে। তিনি বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথের জন্য হেরিটেজ হয়েছে শান্তিনিকেতন। আর আজ বিশ্বভারতী থেকে তাঁর নামই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুজো বলে বিষয়টি হজম করে ছিলাম। কিন্তু পরিষ্কার বলে দিচ্ছি, রবীন্দ্রনাথের নাম না ফেরালে, কাল সকাল ১০টা থেকে রবীন্দ্রনাথের ছবি বুকে নিয়ে ওখানে আন্দোলন করব আমরা।’
এদিন বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট(ইডি)-এর অভিযান থেকে ইন্ডিয়া বনাম ভারত বিতর্ক, রাজ্যের বকেয়া টাকা সহ বিভিন্ন ইস্যুতে সরব হন মমতা। এদিন জেলায় জেলায় রয়েছে দুর্গাপুজো কার্নিভাল। বুধবার থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীরা কালীঘাটে এসে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রণাম সেরে যাচ্ছেন। বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাতে ও মিষ্টিমুখ করাতেও উপস্থিত হচ্ছেন দলের কর্মীরা৷ নেত্রীর তরফেও নেতা-কর্মীদের বিজয়ার শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। এই বছর বিদেশ সফর থেকে ফিরেই পায়ে চোটের কারণে গৃহবন্দি থাকতে হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। বাড়ি থেকেই কয়েক সপ্তাহ ধরেই প্রশাসনের কাজকর্ম সামলাচ্ছেন তিনি। এবার ভার্চুয়ালি পুজো উদ্বোধনও করেন। শুক্রবার কলকাতায় রয়েছে দুর্গাপুজো কার্নিভাল। তার আগে এদিন কালীঘাটে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন মমতা। মমতার এই সাংবাদিক সম্মেলন ঘিরে রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন পড়েছে৷ এবার তাঁর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিরোধীরা কী প্রতিক্রিয়া দেয়, সেটাই দেখার৷