রায়গঞ্জঃ এবার ভোট অন অ্যাকাউন্ট, শুধু মাইনের জন্য টাকা পাশ করা হবে। কিন্তু বকবে ওরা অনেক। বকম, বকম, বকম। এদিন রায়গঞ্জের প্রশাসনিক সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনটাই বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। তিনি বলেন, ভোট আসলেই বিজেপি এনআরসি, সিএএ নিয়ে চেঁচামেচি শুরু করে। নাগরিক না হলে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, মেধাশ্রী, জয় জোহার, বয়স্করা পেনশন পান কী করে? তাই মনে রাখতে হবে আমরা সবাই নাগরিক।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, “এক আধ জনের ছোট্ট একটি ভুলের জন্য সরকারের বদনাম হচ্ছে। মনে রাখবেন এক সঙ্গে থাকতে গেলে কখনও কখনও থালা বাটিতেও ঠোকাঠুকি লাগে। কিন্তু তারপর আবার থালাবাটি ঠিক হয়ে যায়। ঠোকাঠুকি যেটা করে সেটা অজান্তেই হয়ে যায়। অজান্তে কেউ যদি ভুল করে তাকে ক্ষমা করা যায় এবং জেনেশুনে করলে তাকে ক্ষমা করা উচিত নয়। সেক্ষেত্রে আইন আইনের পথে চলবে। তিনি বলেন, ১০০ দিনের কাজ করেছে গরীব মানুষগুলি। কিন্তু তার টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। দুই বছর ১০০ দিনের কাজ বাংলাকে দেয়নি। বাংলাকে করবে বঞ্চনা, বাংলাকে করবে লাঞ্চনা, আর ইলেকশনের সময় ভোট পাখিরা এসে বলবে, “ভোট দাও”,”ভোট দাও”,”ভোট দাও”। বলবেন এবার বিদায় নাও, বিদায় নাও, বিদায় নাও।”
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ৩৬৫ দিন আমরা মানুষের সঙ্গে থাকি। আমার সব টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু আমরা সবাইকে সাধ্যমতো সাহায্য দিই। তিনি বলেন, বিজেপি আবার বলছে এনআরসি করব, ইউনিফর্ম সিভিল কোর্ট করব। আবার বলছে একনায়কতন্ত্র চলবে, গনতন্ত্র নয়। বর্ডার এরিয়ায় বিএসএফ বলছে তাদের কার্ড নিতে হবে। কিন্তু আপনারা বলবেন কেন্দ্রের এক্তিয়ার নেই, রাজ্য সরকারের এক্তিয়ার। বলবেন আধার কার্ড আছে, র্যাশন কার্ড আছে, তাই আমরা সবাই এদেশের নাগরিক।” মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন? নাগরিক না হলে মতুয়ারা ভোট দেন কিভাবে। এরা সব মিথ্যা বলছে।
অন্যদিকে, মতুয়া মহাসংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক তথা সংগঠনের উত্তরবঙ্গের পর্যবেক্ষক ড: বাবুলাল বালা বলেন, আমাদের দাবি সিএএ, এনআরসি নয়। এনআরসি চালু করতে দেবে কি দেবে না সেটা ওনার ব্যাপার। এর মানে উনি সিএএ চালু করতে দেবেন।