গঙ্গারামপুর: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার প্রায় এক মাস পর কফিনবন্দি যুবকের দেহ ফিরল গঙ্গারামপুরে। বছর ২১-এর সুমন রায়ের দেহ বাড়িতে ফিরতেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে গঙ্গারামপুর ব্লকের বাসুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সীমান্তবর্তী আরাজি লালচাঁদপুর গ্রামে।
পেশায় কৃষক রমাকান্ত রায়ের ছেলে সুমন। সুমন ছাড়াও রমাকান্তের পরিবারে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে। পরিবারের অভাব দূর করতে ২১ বছর বয়সেই ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজের যোগ দেওয়ার উদ্যোগ নেয় সুমন। সেইমতো ২ জুন আরাজি লালচাঁদপুরের আরও চার যুবকের সঙ্গে চেন্নাইয়ে কাজের উদ্দেশ্যে রওনা হয় সে। সুমন ছাড়াও ছাড়াও সঙ্গে ছিল জয়ন্ত রায় (১৮), বিপ্লব রায় (২১) এবং মনোজ রায় (১৯)। সুমন সহ পাঁচজনই করমণ্ডল এক্সপ্রেসে চাপে। গত ২ জুন ওডিশার বালেশ্বরে তাঁদের ট্রেনটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এই ঘটনায় মৃত্যু হয় সুমনের। জখম হয় জয়ন্ত, বিপ্লব ও মনোজ। কিন্তু ঘটনার পর থেকেই রমাকান্তর ছেলে সুমনের সন্ধান মিলছিল না। এদিকে, ছেলের খোঁজে হন্যে হয়ে ওডিশার হাসপাতালে ঘুরে বেড়াতে থাকেন রমাকান্ত। ছেলের খোঁজ না পেয়ে পরিবারের লোকজন ডিএনএ-র নমুনা জমা দিয়ে বাড়ি ফেরেন। তারপর প্রায় কেটে গিয়েছে এক মাস। গত রবিবার স্থানীয় থানার মাধ্যমে ছেলের সন্ধান পান রমাকান্ত। ছেলের খবর পেয়ে সেদিনই ওডিশায় ছুটে যান। মঙ্গলবার ছেলের কফিনবন্দি দেহ নিয়ে গ্রামের বাড়িতে ফেরে রমাকান্তের পরিবার।